আজ রাম নবমী, রামলালার মূর্তি তৈরি নিয়ে কী বলছেন শিল্পী অরুণ যোগীরাজ?
অরুণ যোগীরাজ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লাখো লাখো ভক্তের গন্তব্য হতে চলেছে অযোধ্যা। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই প্রতিদিন লাখের ওপর ভক্ত সমাগম হচ্ছে অযোধ্য়ায়। প্রথমবারের জন্য রাম নবমী পালিত হবে অযোধ্যার মন্দিরে (Ram Navami 2024)। রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ যোগীরাজ। লাখ লাখ ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রামলালার মূর্তি। বিগ্রহ তৈরির উপলব্ধি নিয়ে সম্প্রতি অরুণ যোগীরাজ এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন।
অরুণ যোগীরাজ ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি অজস্র ভক্তের সঙ্গে দেখা করেছেন। রামভক্তরা (Ram Navami 2024) তাঁর (অরুণ যোগীরাজ) সঙ্গে ভাব বিনিময় করেছেন। তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। রাম মন্দির আন্দোলনে নিজেদের আত্মত্যাগের কথা, নিজেদের যন্ত্রণার কথা এবং ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি ভালোবাসার কথা রাম ভক্তরা অরুণ যোগীরাজকে জানিয়েছেন। অরুণ যোগীরাজের মতে, ‘‘ভক্তদের মুখে আমি সমস্ত কিছুই শুনেছি। বিগ্রহ এতটা সুন্দর হতে পেরেছে তার কারণ ভগবান রামচন্দ্রের প্রতি ভালবাসার কারণে।’’
অরুণ যোগীরাজের মূর্তি (Ram Navami 2024) অযোধ্যার রাম মন্দিরের স্থাপিত হবে এ কথা ঘোষণা হতেই রাতারাতি খ্যাতি পান এই শিল্পী। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অরুণ যোগীরাজ বলেন, ‘‘ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি তৈরি করতে পেরে সারা দেশের মানুষের অসংখ্য ভালবাসা পেয়েছি। এর পাশাপাশি আমি সেই সমস্ত মানুষদের কাছ থেকেও ভালোবাসা পেয়েছি যাঁরা ভগবান রামচন্দ্রকে মেনে চলেন। প্রত্যেকেই আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। তাঁরা আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। ভগবান রামচন্দ্রের মূর্তি কীভাবে বানিয়েছি তা জানতে চেয়েছেন। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে যাব। আমি মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই। আমি তাঁদের ভালবাসাকে আমার হৃদয়ে রাখতে চাই এবং যখনই আমি সুযোগ পাবো আমি তাঁদের জন্য এবং আমার নিজের দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।’’
রামলালার চোখ সম্পর্কেও (Ram Navami 2024) তাঁকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন সাংবাদিকরা। প্রসঙ্গত, রামলালার বিগ্রহ সামনে আসতে প্রথমেই আলোচনা শুরু হয় বিগ্রহের চোখ নিয়ে। রামলালার চোখ দেখে মনে হয়, তিনি সত্যিই সবকিছুতে নজর রাখছেন। রামলালা যেন জীবন্ত মূর্তি। রামলালার চোখ নিয়ে অরুণ যোগীরাজ বলেন, ‘‘সব থেকে বেশি প্রশ্ন মানুষ আমাকে করেছেন রামলালার চোখ নিয়ে। আমি রামলালার মূর্তি তৈরি করিনি। রামলালা নিজেই তাঁর মূর্তি তৈরি করেছেন। অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছেন, মূর্তি তৈরি করার সময় অনেক বাচ্চা ছেলে আমাকে বলতো যেন মনে হচ্ছে ভগবান রামচন্দ্র কিছু বলতে চায়! পরবর্তীকালে মূর্তি স্থাপিত হওয়ার পরে একই কথা ভক্তদের কাছ থেকে শোনা গেল।’’
এর পাশাপাশি অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছেন, যখন তিনি মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন তখন তাঁর খাদ্যাভ্যাসেও তিনি বদল আনেন। তার কারণ সেই সময় তাঁকে কঠোর পরিশ্রম করতে হতো, কঠিন পাথরকে রামচন্দ্রের মূর্তিতে পরিণত করার জন্য। তাই এই সময় তিনি কম তেল এবং মশলাযুক্ত খাবারের খেতেন ও ডায়েট মেনে চলতেন (Ram Navami 2024)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।