Teihar Jail: অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ, তিহাড়েই ফিরলেন কেজরিওয়াল...
মায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন-পর্ব শেষ। শেষ হয়ে গিয়েছে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদও। সুপ্রিম কোর্টে জামিনের মেয়াদের আর্জি বাড়ানোর আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তাই রবিবার বিকেলে তিহাড় জেলেই ফিরে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।
শুক্রবারই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, জেলে ফিরে যাওয়ার আগে বিকেল তিনটেয় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন। এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কী স্ত্রী সুনীতাকে কিংবা দলের অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে জেলে ফিরে যাবেন আপ প্রধান? এদিন দিনের শেষে অবশ্য দেখা গেল কোনও কিছু ঘোষণা না করেই তিহাড়ের নির্দিষ্ট সেলে ফিরে গিয়েছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাঁর দলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জেলে বসেই আগেই মতোই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল।
জেলে থেকেও তিনি যাতে সরকার পরিচালনা করতে পারেন, সে বিষয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন কেজরিওয়াল। আপের একটি অংশের দাবি, তিহাড় জেলের পরিবর্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও অতিথিশালায় বন্দি রাখা হোক। তাহলে সেখান থেকে সরকার পরিচালনা করা তাঁর পক্ষে অনায়াস হবে। যদিও জেলের আচরণবিধি অনুযায়ী, বিচারাধীন বন্দির যাবতীয় কার্যকলাপের ওপর নজর থাকে জেল কর্তৃপক্ষের। তাই অতিথিশালায় তিনি মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠক ডাকলে (জেলে এই জাতীয় বৈঠক ডাকাই যায় না। মন্ত্রী কিংবা আধিকারিকরা কোনও ফাইলও সই করাতে আসতে পারেন না।) সেই আলোচনাও রেকর্ড করবেন তাঁরা। অথচ, আইন অনুযায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক সম্পূর্ণ গোপনীয়। মন্ত্রিসভার সদস্য এবং মুখ্যসচিব ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকতে পারবেন না।
আর পড়ুন: “মোদির ওপরই ভরসা রেখেছেন অরুণাচলবাসী”, বিপুল জয়ের পর বলছেন খাণ্ডু
এদিকে, ১০ জুন পর্যন্ত জেরে জারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি। আইন অনুযায়ী, ততদিন নয়া কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার। তাই এই ক’দিন ফাইল সই কিংবা মন্ত্রিসভার বৈঠক, কোনও কিছুরই প্রয়োজন হবে না। প্রশ্ন হল, তার পরের দিন থেকে কী হবে? অন্যদিকে, এদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্ত্রী ও দলের নেতাদের নিয়ে কেজরিওয়াল প্রথমে যান রাজঘাটে, গান্ধীজির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকেই রওনা দেন তিহাড়ের উদ্দেশে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় মার্চে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন তিহাড় জেলেই বন্দি। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে ছাড়া পান অন্তর্বর্তী জামিনে। পয়লা জুন শেষ হয়ে যায় সেই মেয়াদ (Arvind Kejriwal)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।