Delhi Liquor Policy Case: আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলেই কেজরিওয়াল...
সুপ্রিম কোর্টেও অস্বস্তিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও স্বস্তি মিলল না। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, জামিনের আর্জি জানিয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা জানায়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ জুন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) মামলার শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং এসভি ভাট্টি। সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং বিক্রম চৌধুরী কেজরিওয়ালের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। বিপরীতে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু। ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। অন্য দিকে, কেজরীর আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: নিট মামলায় ধৃতদের দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই, ফৌজদারি মামলা রুজু
এদিন অভিষেক মনু সিংভি বলেন, 'ট্রায়াল কোর্টের জামিন অর্ডারের অপেক্ষা করেনি দিল্লি হাইকোর্ট। তার আগেই রুখে দেওয়া হয়েছে মুক্তির রায়। অর্ডার না দেখেই যদি হাইকোর্ট জামিনের রায় আটকে দিতে পারে তাহলে কেন হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না?' এর জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, 'হাইকোর্ট যদি ভুল করে তবে আমরাও কি সেটির পুনরাবৃত্তি করব? আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, 'জামিন মঞ্জুর হওয়াই প্রমাণ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) কোনও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নন।' সওয়ালের দরুন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাদী-বিবাদী দুই পক্ষকেই এই ক্ষেত্রে অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সময় অতিবাহিত হচ্ছে বলেও জোরাল সওয়াল করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য, 'কেন এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হবে না? আমাদের সপক্ষে তো কোর্টের রায় রয়েছে।' জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, 'এখনই কোনও রায় দিলে বিষয়টিতে আগাম বিচার করা হয়ে যাবে। এটা কোনও নিম্ন আদালত নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত।' মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা এত সমস্যাজনক কেন হচ্ছে? বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।