img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Arvind Kejriwal: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

"প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে..."

img

বিপাকে আপ আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি।

  2023-07-13 19:50:05

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তার জেরে কেজরিওয়াল ও সাংসদ আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় ২৬ জুলাই ওই দুই আপ নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিল গুজরাটের একটি আদালত। এই মামালায় আজ, ১৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতে জানান, দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টি চলছে। তাই হাজির থাকতে পারলেন না কেজরিওয়াল। এর পরেই বিচারক তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন ২৬ জুলাই।

কী জানিয়েছিল গুজরাট হাইকোর্ট? 

কিছু দিন আগেই গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়েছিল প্রধান নরেন্দ্র মোদির কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করতে সরব হওয়ায় কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ পটেল ওই দুই আপ নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। রেজিস্ট্রারের দাবি, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের পর কেজরিওয়াল ও সঞ্জয় যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন ও ট্যুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানি হয়েছে। সেই মামলায়ই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাটের আদালত।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা 

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় (Arvind Kejriwal) থেকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন। এহেন শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন কেজরিওয়াল। তার পরেই চিফ ইনফরমেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

আরও পড়ুুন: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

মামলাকারীর পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, “একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এ ক্ষেত্রে জনগণের কোনও স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 

Tags:

PM Modi

bangla news

Bengali news

Arvind Kejriwal

Sanjay Singh


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর