Waqf Amendment Bill: ৯০ শতাংশ মসজিদই বেআইনি, কবুল করলেন ওয়েইসি...
ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কী বললেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ঝুলি থেকে বেড়াল বের হল! প্রকাশ্যে এল অবৈধ মসজিদের সংখ্যা। সৌজন্যে, ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। এআইএমআইএম প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) স্বীকার করে নিলেন এই বিল আইনে পরিণত হলে বিপদে পড়বে দেশের ৯০ শতাংশ মসজিদ। তাঁর মতে, এই মসজিদগুলির কোনও নথি নেই, যা দিয়ে প্রমাণ করা যেতে পারে যে মসজিদগুলির মালিকানা মুসলমানদের।
বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। লোকসভায় পেশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, ২০২৪। ১৯৯৫ সালের বিলটি সংশোধন করতেই পেশ করা হয়েছে এই বিল। এই বিলেরই বিরোধিতা করছেন ওয়েইসি। হায়দরাবাদের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে মসজিদ, ইদগাহ এবং মুসলমানদের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের অধিকার চলে যাবে।” তিনি বলেন, “যদিও কোনও একটা জায়গায় মুসলমানরা প্রার্থনা করতে শুরু করেন, তাহলে সেই জায়গাটা চিরকালের জন্য মুসলমানদের সম্পত্তি হয়ে যায়। এই সুবিধাটাই বদলে দিতে চাইছে মোদি সরকার।”
VIDEO | "If this (Waqf) law is approved... out of one lakh and twenty-one thousand Waqf properties in Uttar Pradesh, one lakh and twelve thousand don't have documents. If Waqf by user is removed, who will take the land? If you don't have legal right to the land, anyone can claim… pic.twitter.com/p9ewY5CT52
— Press Trust of India (@PTI_News) September 21, 2024
এআইএমআইএম প্রেসিডেন্ট (Asaduddin Owaisi) বলেন, “তেলঙ্গনায় ৩৩ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। এর ৯০ শতাংশেরই জমির কাগজপত্র নেই।” তাঁর প্রশ্ন, “কেউ যদি মক্কা ও মদিনার জমি নথিভুক্ত রয়েছে কিনা বলে প্রশ্ন তোলে, তাহলে কি সেই কাগজপত্র কেউ দেখাতে পারবে?” তিনি বলেন, “৩০০-৪০০ বছর আগের কোনও রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট কারও কাছে নেই। তাই এই মসজিদগুলির সম্পত্তি সরকার ছিনিয়ে নেবে।” ওয়েইসি বলেন, “আমরা বাবরি মসজিদ হারিয়েছি। এখন হারাব ৯০ শতাংশ মসজিদের অধিকার। আরএসএস এই মসজিদগুলি খনন করবে, যাতে সেগুলোর নীচে চাপা পড়া মন্দিরগুলো পাওয়া যায়।”
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান মোদিকে ভয় পায় বলেই সীমান্তে শান্তি বজায় রয়েছে', বললেন অমিত শাহ
এআইএমআইএম প্রেসিডেন্ট বলেন, “কেবল উত্তরপ্রদেশেই ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে ১.২১ লাখ। এর মধ্যে ১.১২ লাখের কাছে কোনও নথি নেই। যদি সেগুলির মালিকানা চলে যায়, কে দখল করবে এই সম্পত্তি?” ওয়াকফ বোর্ডের থেকে হিন্দু মন্দির ও মঠগুলির সম্পত্তির পরিমাণ যে বেশি, তাও মনে করিয়ে দেন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। বলেন, “ওড়িশা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে হিন্দুদের যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তা ওয়াকফ সম্পত্তির চেয়ে ঢের বেশি (Waqf Amendment Bill)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।