মথুরায় যে কৃষ্ণ জন্মেছিলেন, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছেন অজয় প্রতাপ...
হিন্দু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে ইদগাহ। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণপনার ঘাট নেই তাঁর! তিনি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi) ধ্বংস করে তিনি গড়েছিলেন শাহি ইদগাহ। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ, সংক্ষেপে আইএসআই। আইএসআইয়ের দাবি, এ ব্যাপারে তারা নির্ভর করেছে ২০২০ সালের ঐতিহাসিক তথ্যের ওপর।
উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীর জনৈক অজয় প্রতাপ সিংহ এ বিষয়ে জানতে আবেদন করেছিলেন আরটিআইয়ে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে মুঘল সম্রাটের কীর্তি! মথুরায় যে কৃষ্ণ জন্মেছিলেন, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরেছিলেন অজয় প্রতাপ। এখন যেখানে কেশবদেবের মন্দির রয়েছে ১৬৭০ সালে সেখানেই গড়ে উঠেছিল শাহি ইদগাহ। ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে এএসআই যে সার্ভে করেছিল, সেই তথ্যই জানতে চেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এই বাসিন্দা। তখনই প্রকাশ্যে আসে মন্দির ধ্বংস করে ইদগাহ গড়ে তোলার কথা।
আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে আইএসআই যে তথ্য (Krishna Janmabhoomi) অ্যাটাচ করেছে, তা ১৯২০ সালের সার্ভে রিপোর্ট। যে ৩৯টি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছিল ঔরঙ্গজেবের আমলে, তার মধ্যে কৃষ্ণ জন্মভূমি রয়েছে ৩৭তম স্থানে। ১৯২৪ সালে ইউনাইটেড প্রভিন্সেস গেজেটের ১৯১১ নম্বর পৃষ্ঠায় ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল এ সংক্রান্ত সংবাদ। আবেদনকারী বলেন, তিনি এই তথ্য হাইকোর্টে জমা দেবেন। প্রসঙ্গত, আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি ন্যাসের প্রেসিডেন্টও। মথুরায় কেশবদেবের যে মন্দির রয়েছে, সেটি পাঁচ হাজার বছরের পুরানো। এখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের উত্তরাধিকারী ব্রজ এবং ব্রজনাভ মথুরায় তৈরি করেছিলেন কেশব মন্দির। সেই সময় রাজা ছিলেন পরীক্ষিত। তাঁর সাহায্যে গড়ে তোলা হয়েছিল মন্দির।
আরও পড়ুুন: আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, গ্রেফতার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী
জানা গিয়েছে, মুঘল বংশের অত্যাচারী সম্রাট ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে ডিক্রি জারি করে ধ্বংস করেন মথুরায় কেশবদেবের মন্দির। সেই জায়গায় গড়ে তুলেছিলেন শাহি ইদগাহ। হিন্দু মন্দির ভেঙে ইদগাহ তৈরি হওয়ার পর সম্রাট স্বয়ং সেখানে গিয়ে নমাজ আদায় করেছিলেন বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের। মথুরায় বিতর্কিত জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। এর মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির দখলে রয়েছে ১০.৯ একর জমি। বাকিটা রয়েছে শাহি ইদগাদের দখলে। যদিও পুরো জমিটিরই দাবিদার হিন্দু পক্ষ (Krishna Janmabhoomi)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।