Assam Flood: আসামের ৩০ জেলায় অন্তত ৪৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন
আসাম বন্যা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামের বন্যা (Assam Flood) পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যা এবং ভূমিধস মিলিয়ে আসামে মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের। শেষ ২৪ ঘণ্টাতেই নিহত হয়েছেন ১১ জন। উত্তর-পূর্ব ভারতে (North East India) এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১৩১ জনের। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (CM Himanta Biswa Sarma) সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। একটি ট্যুইট করে বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister)। কেন্দ্রের তরফ থেকে বন্যা কবলিত রাজ্যগুলিকে সাহায্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর-পুর্ব ভারতে বন্যায় মৃত ৭১, শুধু আসামেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লক্ষ মানুষ
আরও একটি ট্যুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে একটি আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল (IMCT) আসাম এবং মেঘালয়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবে। এর আগেও ২৬ থেকে ২৯ মে-র বন্যায় আইএমসিটি তাই করেছিল।
আসামের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। বন্যা কবলিত এলাকায় হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ নিয়ে গিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। উদ্ধারকাজে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না, এমন কড়া বার্তাও দেন তিনি।
Reviewed #AssamFlood situation in a VC with DCs in presence of my Cabinet colleagues, senior Govt officials and representatives of @adgpi, @RailMinIndia, @NDRFHQ, etc.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) June 20, 2022
Keeping in view the ground situation, issued instructions to provide immediate relief to the affected people. pic.twitter.com/LftnQz6qBQ
">
আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের দৈনিক বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বরপেটায়। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যুর খবর মিলেছে। ডিব্রুগড়ে চার জন নিখোঁজ হয়েছেন। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়িতে এক জন করে নিখোঁজ।
আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪
আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার (ASDMA) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সেরাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮২। রাজ্যের ৩০ জেলায় অন্তত ৪৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরপেটা, বক্সা, গোয়ালপাড়া আর কামরূপে।
এদিকে মেঘালয়েও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তা নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা কনরাডের সঙ্গেও কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে আবহাওয়া দফতর সোমবার এই অঞ্চলের সাতটি রাজ্যে নতুন করে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। বুলেটিন অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।