আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস, বানভাসি আসামে ৩১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বানভাসি আসাম।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত আসাম (Assam)। ভাসছে ৪৪৪টি গ্রাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বানভাসি অবস্থা সে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রাজ্যের ১০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। প্রবল বর্ষণের কারণে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী ৫ দিন আসামের বেশ কিছু জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, চিরাং, দরং, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নলবাড়ি, সন্তিপুর, উদালগুড়ি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আসামের (Assam) লখিমপুর জেলায়। সেখানে ২২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। কোকরাঝাড়ে প্রায় ১৮০০ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৭৪১.২৩ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসন ৭ জেলায় মোট ২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ৫ দিনে আসামের (Assam) বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কয়েকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। মৌসম ভবনের গুয়াহাটি শাখা সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টা নিম্ন আসামের কোকরাঝাড়, চিরাং, বাকসা, বরপেটা এবং বনগাইগাঁওয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। এই সমস্ত জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধুবরি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, নলবারি, দিমা হাসাও, কাচার, গোয়ালপাড়া এবং করিমগঞ্জ জেলাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে ডিমা হাসাও, কামরূপ মেট্রোপলিটন এবং করিমগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় ধস নেমেছে।
আরও পড়ুন: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের 'থিমে'র রথযাত্রা
এদিকে, টানা বৃষ্টির পাশাপাশি ভুটান জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। তার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে জাতীয় সড়কের উপর উপচে পড়েছে নদীর জল। বৃষ্টিপাত কমলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে আসাম (Assam) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: