অসমে প্রায় ১ হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। আনুমানিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসাগুলিতে পড়ে। বহু মাদ্রাসাতেই বেআইনি এবং দেশবিরোধী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সেনার টহলদারি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অসমে প্রায় ১ হাজার বেসরকারি মাদ্রাসা রয়েছে। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যা ছিল ৭৮৮টি। আনুমানিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসাগুলিতে পড়ে। বহু মাদ্রাসাতেই বেআইনি এবং দেশবিরোধী কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় দেশবিরোধী কাজে মদত দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সদ্য বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি ধরা পড়েছে অসমে। গ্রেফতার করা হয়েছে মুফতি মোস্তাফা নামের মরিগাঁও এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে। মোস্তাফা এখন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের অন্যতম জঙ্গি সংগঠন Ansar ul Bangla Team (ABT)-র সদস্য বলে পুলিশের দাবি। অসম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, ওই জঙ্গি সংগঠন মরিগাঁও এলাকা নিজেদের ‘মডিউল’ গড়ে তুলছিল। মোস্তাফাকে জেরা করে অনেক তথ্য উঠে এসেছে।
অসমের পুলিশের স্পেশাল ডিজি জিপি সিং (GP Singh) জানান, “মুফতি মোস্তাফা যে ‘জিহাদি ট্রেনিং’ দেখাতেন, তা তার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলিতে পাওয়া গিয়েছে। আমরা এখন দেখতে চাইছি, তাঁর ওই ভিডিয়োগুলি কতজন দেখেছেন। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ওপরে সেগুলির কী প্রভাব পড়েছে, তাও আমরা দেখতে চাইছি।” জিপি সিং বলেন, “ওই মাদ্রাসার শিক্ষক যে ভিডিয়োগুলি দেখাতেন, সেখানে তালিবানদের ট্রেনিং নেওয়ার বিষয়টিও আছে। সেগুলি দিয়ে তিনি ওই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের প্রভাবিত করতেন।” তিনি জানান, একাধিক মাদ্রাসা তাঁদের ‘স্ক্যানারে’ আছে।
আরও পড়ুন: বিভীষিকা বিশাখাপত্তনমে! কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ ৫০জন, ভর্তি হাসপাতালে
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) এক বিবৃতিতে বলেছেন, "পুলিশের সর্ববৃহৎ অভিযানে ধরা পড়েছে একঝাঁক জেহাদি। মৈরাবাড়িতে একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য এই প্রথম কোনও ধর্মীয় মাদ্রাসার শিক্ষককে জেহাদি-যোগের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদ্রাসাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরপেটাতেও বড়সড় জঙ্গি মডিউল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক, বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে।"
অসমের শিক্ষামন্ত্রী রনোজ পেগু (Ranoj Pegu) বলেন, “অসমে কোনও সরকারি মাদ্রাসা নেই। আমরা একাধিক মাদ্রাসার শিক্ষকদের সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে সেখানের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে যাওয়ার জন্য বলা হবে।” ইতিমধ্যেই অসমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৫০টি মাদ্রাসা, বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।