মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানি থেকে বুধবার ডেনমার্কে (Denmark) যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ওই মহাদেশের উত্তরাংশের এবং উত্তর অতলান্তিকের রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করেন মোদি। ডেনমার্কে দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক সম্মেলনে (Nordic Meet) যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, তিনি পৃথক পৃথক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। ওই বৈঠকগুলিতে অর্থনীতির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনারও ডাক দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, দু'দেশের চলামন সংকট নিয়ে ভারত অনেক আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা, সংকট নিরসনে আলোচনা ও কূটনীতির পথ বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করে দিল্লি। এই যুদ্ধে কোনও পক্ষই বিজয়ী হবে না, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ভারত শান্তির পক্ষে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ডেনমার্ক ছেড়ে এদিন সন্ধ্যায় ফ্রান্স পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ডেনমার্ক ছাড়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত-নর্ডিক সম্মেলন বহুদূর পর্যন্ত যাবে। সকলে একত্রিত হলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি এবং সর্বাঙ্গীন বিকাশে অবদান রাখতেও পারব।’’ ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে অতিমারি পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহযোগিতা, দূষণ মোকাবিলা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, সমুদ্রপথে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদি আলোচনা করেছেন। উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কথাও।
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নর্ডিক সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। বিশেষ করে ভারতের ‘সাগরমালা প্রকল্প’ নিয়ে কথা হয়েছে নর্ডিক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে। আজ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোর-এর সঙ্গে বৈঠকে বিকল্প শক্তি, সমুদ্র অর্থনীতি, মহাকাশ গবেষণাক্ষেত্রে সহযোগিতা
বাড়ানো এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলি আলোচনায় জায়গা পেয়েছে। নরওয়ে এবং ভারত দু’টি দেশই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। তাই বৈঠকে উঠেছে, ইউক্রেন, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গও। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধুনিক প্রযুক্তিক্ষেত্রে সমন্বয়ের কথা হয়েছে।