মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার-রাজনীতিক আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাইকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। এদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ (VHP) কিংবা বজরং দলের (Bajrang Dal) কোনও সম্পর্কই নেই। সোমবার এমনই দাবি করা হয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে। আতিক সমাজবাদী পার্টির টিকিটে সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি খুন হওয়ার পরে পরেই অভিযোগের আঙুল ওঠে বজরং দলের দিকে। বজরং দলের দিকে ওঠা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দল আইন এবং সংবিধান মেনে কাজ করে।
আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) খুনে...
তিনি বলেন, আমরা যথাযথভাবে তদন্ত করেছি। আতিক ও তাঁর ভাই খুনে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ কিংবা বজরং দলের কোনও সম্পর্কই নেই। যা রটানো হচ্ছে, তা নিতান্তই মিথ্যে। অলোক কুমার বলেন, আইন হাতে তুলে নেওয়ার কথা আমরা কখনওই চিন্তা করি না। আমরা বিশ্বাস করি, তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে খুন হন আতিক (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই আশরাফ। আতিকের শরীরে ৯টি গুলি বিঁধেছে বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সাংবাদিক সেজে তাঁদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতরে ঢুকে পড়ে জনৈক লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য। খুব কাছ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়।
আরও পড়ুুন: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে খালিস্তানপন্থীদের হামলার ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ
বছর ষাটের আতিকের গায়ে ৯টি গুলি লাগলেও, আশরাফের গায়ে লাগে পাঁচটি বুলেট। ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় তিন আততায়ীকেই। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানিয়েছে যে, আতিক (Atiq Ahmed) ও আশরাফকে খুন করে নিজেরা গ্যাংস্টার হওয়ার আশায়ই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। এর পরেই খুনের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় বজরং দলের ঘাড়ে। যদিও সেই অভিযোগ যে মিথ্যা, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours