চলতি বছরেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় আতিককে
আতিক আহমেদ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৭ বছর বয়সে হাত পাকিয়েছিলেন খুনে। বাবা টানতেন ঘোড়ার গাড়ি, অমনোযোগী ছেলে উচ্চ বিদ্যালয়ে বারবার অকৃতকার্য হওয়ার পরেই ইতি টানেন পড়াশোনায়। পা রাখেন অপরাধ জগতে। প্রথম জীবনে ট্রেন থেকে কয়লা চুরি করতেন। ১৯৬২ সালে তৎকালীন এলাহাবাদে, বর্তমানের প্রয়াগরাজে জন্ম হয় কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed)।
অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়ই, ১৯৮৯ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে রাজনীতির আঙিনায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে আসেন বাহুবলী আতিক (Atiqe Ahamed)। তখন এলাহাবাদ অঞ্চলে একচ্ছত্র অধিপতি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। ১৯৮৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কখনও নির্দল প্রার্থী হিসেবে, আবার কখনও সমাজবাদী প্রার্থী হিসেবে আতিকের বিজয়রথ ছিল অপ্রতিরোধ্য। ২০০৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন আতিক আহমেদ (Atiqe Ahamed)। সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ফুলপুর আসন থেকে জয়ী হন তিনি। আতিকের ছেড়ে আসা এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হন বিএসপি নেতা রাজু পাল। এই রাজু পাল খুনের ঘটনা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় গ্যাংস্টারকে।
২০০৫ সালে খুন হন বিএসপি বিধায়ক। সেই খুনেও আতিকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিন বছরের মাথায় জামিন পান। বিএসপি বিধায়ক খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। আতিক চেয়েছিলেন, উমেশ এই মামলা থেকে সরে যাক। আদালতে গিয়ে বলুক, রাজু পাল খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিল না উমেশ। কিন্তু সরে না দাঁড়ানোয়, ২০০৬ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আতিক ও তাঁর সঙ্গীরা উমেশকে অপহরণ করে।
সেই অপরহণ মামলায় গ্যাংস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আতিকের (Atiq Ahmed)। গত চার দশকে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ সহ প্রায় ১০০টি বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। সাক্ষী উমেশ পালকে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এখানে প্রধান অভিযুক্ত ছিল আতিকপুত্র আসাদ। তাঁকে দুদিন আগেই ঝাঁসিতে এনকাউন্টার করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। আসাদের শেষকৃত্যের দিনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হল আতিকের দেহ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: