img

Follow us on

Thursday, Nov 21, 2024

Atiq Ahmed Murder: সবথেকে বড় ডন হওয়াই ছিল লক্ষ্য! পুলিশি জেরায় দাবি আতিক হত্যাকারীদের

তিনজন আততায়ী জেলে থাকাকালীন বন্ধু হয়ে ওঠেন

img

আতিক আহমেদ

  2023-04-16 19:45:05

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের হাসপাতাল চত্বরে শনিবার রাতে ক্যামেরার সামনেই খুন করা হয় আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed Murder) এবং তাঁর ভাই আশরফকে। পুলিশি নিরাপত্তায় গ্যাংস্টার দুই ভাইকে এদিন হাসপাতালে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে এসেছিল পুলিশ।  খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে যোগী রাজ্যের প্রশাসন। ধৃতেরা হলেন, উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা সানি সিং, কাসগঞ্জের বাসিন্দা অরুণ মৌর্য এবং বান্দার বাসিন্দা লবলেশ তেওয়ারি। আতিক এবং আশরফকে খুনের পরই তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরে  তিনজনেই পালানোর চেষ্টা করেনি।

তিনজন আততায়ী জেলে থাকাকালীন বন্ধু হয়ে ওঠেন

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ এবং ডাকাতি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে। যোগী রাজ্যের প্রশাসনের একাংশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছেন যে, জেলে থাকাকালীন তিন জন পরস্পরের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। সেই থেকেই একসঙ্গে যাবতীয় অপরাধ সংঘটিত করতেন তাঁরা। অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে এ-ও দাবি করেছেন যে, উত্তরপ্রদেশের সবচেয়ে বড় ‘ডন’ হওয়ার লক্ষ্য ছিল তাঁদের। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, জেরায় অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই সেই সুযোগ খুঁজছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তাঁরা জানতে পেরেছিলেন ‘গ্যাংস্টার’ আতিক (Atiq Ahmed Murder) এবং তার ভাই আশরফকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন তাঁরা পরিকল্পনা করেন যে, যদি এই সুযোগে আতিক এবং তার ভাইকে খুন করা যায়, তা হলে উত্তরপ্রদেশে তাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়বে। শুধু তাই-ই নয়, এত দিন ধরে যাঁরা আতিক এবং তার গ্যাংকে ভয় পেতেন, এখন থেকে তাঁদের ভয়ে কাঁপবেন সেই সব মানুষ। পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আতিককে খুনের পরিকল্পনা করার পরই শুক্রবার হাসপাতালের রেকি করে গিয়েছিলেন তিন অভিযুক্ত।

তিন অভিযুক্তের পরিবার কী বলছে

জানা গেছে অভিযুক্ত লবলেশ তেওয়ারি বাড়ির সঙ্গে সে অর্থে কোনও যোগাযোগ রাখতেন না। তাঁর বাবা বলেন, পাঁচ ছ' দিন আগে একবার এসেছিল বাড়িতে, তারপর আবার চলে যায়। কোনও কাজও করত না উপরন্তু ছিল নেশাগ্রস্ত। আমরা ঘটনাটা টিভিতে দেখেছি। তার নামে আগেও কেস রয়েছে, সেই কেসে জেলও খেটেছে লবলেশ।

অন্য অভিযুক্ত সানি সিং-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের ১৪টা কেস রয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ তারও ছিলনা, এমনটাই দাবি পরিবারের। সানির মা এবং এক ভাই থাকেন তাঁর পৈতৃক বাড়িতে। ভাই বর্তমানে চা এর দোকান চালায়।

আরেক জন অরুণ মৌর্যর বিরুদ্ধে ২০১০ সালে ট্রেনে এক পুলিশ কর্মীকে হত্যা করার অভিযোগ ছিল। বর্তমানে সে দিল্লির এক কারখানায় কাজ করতো বলে জানা গেছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Atiq Ahmed Murder


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর