Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মোদি-জয়শঙ্কর বৈঠক, দীর্ঘক্ষণ আলোচনা
বাঁদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ডানদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই। ঠিক এই আবহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে দুজনের মধ্যে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতনের (Attacks On Hindus) বিষয়টি সংসদে উঠতে পারে। এবিষয়ে শীঘ্রই বিবৃতিও দিতে পারেন বিদেশমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার (Attacks On Hindus)। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রাণ ভোমরা রয়েছে জামাত ও বিএনপি'র মতো মৌলবাদী সংগঠনগুলির হাতে। এই মৌলবাদী সংগঠনগুলি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ (Attacks On Hindus) করার দাবি জানিয়ে আসছে। ইসকনের একাধিক মন্দিরে হামলা চলছেই। প্রসঙ্গত, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুকে যখন চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়, তখন তাঁর সমর্থনে হাজার হাজার হিন্দুকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতেও দেখা যায়।
এদিকে মোদি সরকারের একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাংলাদেশ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন। স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Attacks On Hindus) উপাসনালয় এবং মন্দিরগুলিকে রক্ষা করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বব্যাপী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আমেরিকা শাখার নেতা অজয় শাহ হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের পরে ২০০টিরও বেশি হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং গতকালই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করছে যে সে দেশের সরকার আসলে মৌলবাদীদের খপ্পরে (Attacks On Hindus) রয়েছে। হিন্দুদের ওপর হামলা মানবতাবাদ বিরোধী বলেও তোপ দাগেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।