রামমন্দিরের ‘অক্ষত চাল’ পৌঁছাল বাংলায়...
অক্ষত চাল পৌঁছাল বাংলায় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir) থেকে তিনটি কলসিতে 'অক্ষত চাল' এল বাংলায়। গত রবিবার অযোধ্যায় রামজন্মভূমিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এরপরেই দেশের সমস্ত রাজ্যে সেই অক্ষত চাল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সাংগঠনিকভাবে সারা দেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৪৫টি প্রদেশ রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে তিনটি উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের জন্য অক্ষত চালের কলসি শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। অন্যদিকে মধ্য এবং দক্ষিণবঙ্গের অক্ষত চাল আনা হয়েছে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অক্ষত চাল যাবে বাংলার গ্রামে গ্রামে
জানা গিয়েছে, এই অক্ষত চাল আপাতত সংরক্ষিত থাকবে সঙ্ঘ পরিবারের কাছেই। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তা গ্রামে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ৫ থেকে ৭ নভেম্বর গুজরাটের ভুজে বসেছিল আরএসএসের সর্বভারতীয় কার্যকারিণী বৈঠক। সেখানেও মূল অ্যাজেন্ডা ছিল রামমন্দির। বৈঠকের শেষ দিনে আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘১ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রামমন্দিরের (Ram Mandir) ছবি নিয়ে ভারতবর্ষের ৫ লাখ গ্রামে যাবেন স্বয়ংসেবকরা।’’ অর্থাৎ একদিকে অক্ষত চাল যেমন পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে, তেমনই পরবর্তীকালে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়েও জনসংযোগ করবেন স্বয়ংসেবকরা।
অক্ষত চালকে শুভ মানা হয়
আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। সেদিন প্রধানমন্ত্রী রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার পথও অতিক্রম করবেন। দেশের সব প্রান্ত থেকে মানুষ সেদিন অযোধ্যায় সমবেত হবেন। আমন্ত্রণের চিঠিতে অক্ষত চাল দেওয়ার রীতি রয়েছে হিন্দু সমাজে। হলুদ এবং ঘি মাখিয়ে তৈরি করা হয় এই অক্ষত। কোনও শুভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যা মঙ্গলজনক বলেই মনে করা হয়। ১০০ কুইন্টাল চাল এনে গত রবিবারই অক্ষত পুজো সম্পন্ন হয় অযোধ্যায়। এই অক্ষত চাল রামলালার সামনে রেখে পুজো করা হয়। পরের দিন থেকেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।