রাম মন্দিরে রামের দরবারের নির্মাণকাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে...
রাম মন্দির (ফাইল চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে রামের দরবার-এর প্রথম এবং দ্বিতীয় তলের নির্মাণকাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, প্রভু রামের দরবারে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ। নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র শনিবারই মন্দির চত্বর (Ram Mandir) পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে, ‘পরকোটা’-র কাজও শেষ করতে হবে। ৭৯৫ মিটার দীর্ঘ পরিক্রমা প্রাচীরের কাজও তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৮ হাজার অতিথি সামিল হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তারপর থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে অযোধ্যায়। হিসাব বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ লাখ ভক্তের পা পড়েছে রাম জন্মভূমিতে এবং মোট প্রণামী সংগৃহীত হয়েছে ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৮ কোটি টাকা এসেছে শুধু প্রণামী বাক্স থেকেই এবং অনলাইনের মাধ্যমে প্রণামী পাঠানো হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
রাম মন্দিরে প্রত্যহ সন্ধ্যায় গোনা হয় প্রণামী
তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গড়ে দু'লাখেরও বেশি রামভক্ত (Ram Mandir) আসছেন মন্দির দর্শনে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে চারটি বড় আকারের প্রণামী বাক্স রাখা হয়েছে। এগুলি রয়েছে দর্শন পথের সামনেই। যেখানে ভক্তরা তাঁদের দান করছেন। এর পাশাপাশি দশটি কম্পিউটারাইজ কাউন্টারও খোলা হয়েছে প্রণামীর জন্য। জানা গিয়েছে, রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগও করেছে এই ডোনেশন কাউন্টারগুলির জন্য। প্রণামী থেকে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাস্টের অফিসে জমা পড়ে প্রত্যহ সন্ধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রুটিন মাফিক প্রণামী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ গোনা হয় রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ram Mandir) অফিসে। এ কাজে লেগে রয়েছেন ১৪ জন। যাঁদের মধ্যে ১১ জনই হলেন ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ৩ জন হলেন ট্রাস্টের সদস্য। প্রণামী গোনার কাজ সম্পন্ন হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতেই।
উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সময় থেকে ৪ হাজার ৮২৫ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছেন পর্যটকরা। এর মধ্যে যেমন দেশীয় পর্যটক রয়েছে, তেমনি বিদেশের পর্যটকরাও রয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির যথেষ্ট সফল, তা বলাই যায়। প্রসঙ্গত আধ্যাত্মিক পর্যটনের কথা গতকাল উঠে এসেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণেও। তিনি বলেন যে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে দেশের আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে উন্নত করার জন্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।