Tripura: ত্রিপুরায় আপাতত বন্ধ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন...
ত্রিপুরায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে নিরাপত্তা। সংগৃহীত চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ পেয়ে ত্রিপুরায় এবার বন্ধ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) সহকারী হাইকমিশন বা উপ-দূতাবাস। মঙ্গলবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, আপাতত ভিসা এবং কনস্যুলার কাজ বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণ দেখিয়েই সহকারী হাইকমিশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে ইউনূস সরকার। ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের পর ট্যুইট করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
On its way... pic.twitter.com/qykDlkIUIm
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) December 3, 2024
বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে নির্বিচারে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ হচ্ছে দিকে দিকে। ত্রিপুরার আগরতলাতেও প্রতিবাদ হচ্ছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা সহকারী হাইকমিশন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ভারত সরকারের তরফেও এই ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৩ পুলিশ অফিসারকে। বদলি করা হয়েছে পুলিশের আরও এক কর্তাকেও। তবে, এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিয়ে এবং ঘটনার প্রতিবাদ করে সংখ্যালঘুদের কীভাবে নিরাপত্তা দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিল ভারত। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বারবার ভারত বার্তা পাঠালেও ইউনূস সরকার তা নিশ্চিত করতে পারছে না, এটাই ফারাক দুই দেশের।
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) December 2, 2024
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ এবং ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঘোষণা করেছে, ব্যবসার ক্ষতি করেও বর্তমানে তারা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা দেবে না। আগে থেকে যাঁরা হোটেলে ছিলেন, শুধু তাঁদেরই থাকতে দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভ হয়েছে অসমেও। শিলচরে বাংলাদেশের ভিসার একটি ফ্রাঞ্চাইজি কেন্দ্রে বিক্ষোভ হয়। দক্ষিণ অসমের চার জেলা সদরে ধর্না দেয় সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। হাফলংয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৩০টি সংগঠন। লোক জাগরণ মঞ্চের তরফে ধুবুড়ি, জোরহাট, নলবাড়ি, মাজুলি, বরপেটা, নলবাড়ি, গোলাঘাট, হোজাই-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। স্মারকপত্র পাঠানো হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের উদ্দেশে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।