Bangladesh: কেরলে ৮ সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল অসম এসটিএফ
গ্রেফতার হওয়া ৮ সন্ত্রাসী (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (Assam STF) কেরল থেকে গ্রেফতার করে ৮ জন সন্ত্রাসবাদীকে। যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদি আল কায়েদার স্লিপার সেলের সদস্য। তার নাম মহম্মদ সাদ রাদি। জানা গিয়েছে, আরএসএস সমেত অন্যন্য হিন্দু সংগঠনের নেতারা ছিলেন এদের লক্ষ্যবস্তু। ৩২ বছর বয়সি এই সন্ত্রাসবাদী অসম পশ্চিমবঙ্গের স্লিপার সেলে কাজ করত। গত নভেম্বর মাসেই সে ভারতে এসেছিল। এরপর সে কেরলে যায়। অসম পুলিশের এসটিএফের যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, সেখানে তারা জানিয়েছে, কেরল এবং বাংলা পুলিশের সঙ্গে তারা যৌথভাবে কাজ করছে এবং গোয়েন্দা রিপোর্টে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়ার পরেই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করে অসমের এসটিএফ।
টার্গেট ছিল আরএসএস ও অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের নেতারা (Assam STF)
অনুসন্ধানে জানা যায় যে আলকায়েদার সদস্য মহম্মদ ফারহান ইসরাকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসবাদী কাজ করছে। এদের টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বিজেপির ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিভিন্ন নেতারা। একই সঙ্গে অন্যান্য হিন্দু সংগঠনও এদের টার্গেট ছিল বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছে জসিমউদ্দিন রহমানি। জানা গিয়েছে, ফারহান ইসরাক এই জসিমউদ্দিন রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম।
সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেফতারি নিয়ে অসম পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক (Assam STF) হরমত সিং সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে জেহাদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এটা বড় সাফল্য। এই সমস্ত সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশ (Bangladesh) সমেত ভারতের বিস্তীর্ণ অংশকে অশান্ত করার চেষ্টায় লেগেছিল দীর্ঘদিন ধরে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ওই সন্ত্রাসবাদি কেরল যাওয়ার আগে অসম-বাংলায় নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের স্লিপার সেলের সঙ্গে দেখাও করেছিল। গ্রেফতারকৃত অন্য সাত সন্ত্রাসীর নাম মিনারুল শেখ (৪০), আব্বাস আলি (৩৩), নুর ইসলাম মন্ডল (৪০), আব্দুল করিম মন্ডল (৩০), মজিবর রহমান (৪৬), হামিদুল ইসলাম (৩৪) এবং এনামুল হক (২৯)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।