Ramakrishna Mission: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিল রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন, কেন জানেন?
চিন্ময় প্রভু মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি রামকৃষ্ণ মিশনের (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) জেলে রয়েছেন। তাঁর জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে নয়া বছরে। এদিকে চিন্ময় প্রভু যাতে কোনও রকম আইনি সহায়তা না পান, তার জন্যে ক্রমাগত হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে চট্টগ্রামের আইনজীবীদের একটা অংশ। এমনকী, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যদি আদালতে সওয়াল করেন, তাহলে সেই আইনজীবীকে গণপিটুনি দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই আবহের মধ্যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে এবার চিঠি লিখলেন ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ। এই নিয়ে সেদেশের সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছেন স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ। তাতে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
রামকৃষ্ণ মিশনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, হিন্দু সন্ন্যাসীকে মুক্ত করলে অন্তর্বর্তী সরকারেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই চিঠিতে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী লেখেন, ‘‘সম্প্রতি দেশের (Bangladesh) সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রীচিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারামুক্তি প্রদান করলে আপনার সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে আমরা মনে করি। আশা করি, এবিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের আশ্বস্ত করবেন। ’’ এর আগে, এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ভারতের রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সরব হয়েছিলেন। চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে, আগামী ১৩ ডিসেম্বরও সনাতনীদের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতির জেরে সেটিও বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh) অশান্তি আবহ প্রসঙ্গে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেছেন, ‘‘খুব বিপজ্জনক। আমাদের ভক্তরা খুব চিন্তিত। সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, যদি এই রকম মৌলানারা পুরো বাংলাদেশে ঘুরে, এই রকম সভা করছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ তাঁদের শুনছে। সোশাল মিডিয়াতে যখন পোস্ট করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ ভিউ পাচ্ছে। একসঙ্গে এত মানুষের যদি মগজ ধোলাই হয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পুলিশ, সেনা যদি ভাবে আমরা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেব, এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেউ সামলাতে পারবে না। ওরা যেটা বলছে, গণহত্যা যদি শুরু করে দেয়, এটা কারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।’’ ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই বলে, ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে। তাহলে কার মদতে ইসকনকে মুছে ফেলার ডাক দিচ্ছে মৌলবাদীরা? কোন সাহসে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বলছে? এবার কি ওই সব কট্টরপন্থীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে ইউনূসের প্রশাসন?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।