অনলাইন প্রতারণাকাণ্ডে গোটা দেশে জালিয়াতদের প্রথম ‘পছন্দ’ কলকাতা! দাবি রিপোর্টে
জালিয়াতদের নতুন হাতিয়ার কিউআর কোড! (ছবি-প্রতিনিধিত্বমূলক)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে টাকা হাতানোর খবর ইতিমধ্যেই শিরোনামে এসেছে। আধার স্ক্যামের জালে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্লোনের পরে এবার প্রতারকরা জাল বিছিয়েছে কিউআর কোডেও (QR Scam)। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে ৭৭.৫ শতাংশ সাইবার অপরাধই হল অনলাইন আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত। এরমধ্যে আবার সারাদেশে সব থেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে কলকাতা। তিলোত্তমায় প্রায় ৭১ লাখ সাইবার অপরাধের প্রবণতাকে শনাক্ত করতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা। নগদ টাকার আদান-প্রদান এখন আর কেউই করতে চান না। অনলাইন পেমেন্টেই বেশিরভাগ মানুষ ভরসা রাখেন। আর এখানেই প্রতারকরা নানা ফাঁদ পেতে টাকা গায়েব করে নিচ্ছে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ৩০ বছরের এক অধ্যাপক এমন ভয়ংকর আর্থিক জালিয়াতির অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। জানা গিয়েছে, অনলাইনে ওয়াশিং মেশিন বিক্রি করার জন্য ওই অধ্যাপক একটি বিজ্ঞাপন দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সেজে তাঁর কাছে একটি কিউআর কোড আসে (QR Scam)। এতে বলা হয় যে তারা ওয়াশিং মেশিন কিনতে চায়, কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ওয়াশিং মেশিনের দাম অধ্যাপক এর অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। যখনই ওই অধ্যাপক কিউআর কোড স্ক্যান করেন। তখন ৬৩ হাজার টাকা মুহূর্তের মধ্যে গায়েব হয়ে যায় ।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাল কিউআর কোড (QR Scam) স্ক্যান করলে হাজারও সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে। শুধু যে টাকা গায়েব হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে এক্ষেত্রে তাই নয়, আপনাকে যে কোনও ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য চুরি করে নিতে পারে হ্যাকাররা। এভাবে গুপ্তচরবৃত্তিও সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় মনে রাখবেন যে কিউআর কোড টাকা পাঠানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়। টাকা পাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু কিছু সময়ে নানা রকম প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফেলা হয়।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন কতগুলি দিক খেয়াল রাখা উচিত আমাদের সেগুলি হল-
১) যে কোনও হোটেল বা দোকানে বিল মেটানোর জন্য যখন কিউআর কোড স্ক্যান (QR Scam) করবেন, তার আগে কোডের আকৃতি অবশ্যই দেখবেন। যদি মনে হয় আপনার আকারটি বিকৃত হয়েছে তাহলে নগদে অর্থ প্রদান করুন।
২) কিউআর কোড (QR Scam) স্ক্যান করে অর্থ প্রদান করার সময় যেখানে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যবসায়ী বা দোকানের নামটি আগে চেক করে নিন।
৩) যদি কখনও ইমেইল আইডির মাধ্যমে কিউআর কোড পান ভুলেও স্ক্যান করবেন না।
৪) খুব প্রয়োজন না হলে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।