ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে পুরসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।
গণপতি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই গণেশ চতুর্থী। করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবছর ফের গণেশ উৎসবে মেতে উঠেছে মুম্বইবাসী। গণেশ উৎসব উপলক্ষে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে ভারতের একাধিক শহর। মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু,অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট সহ বহু রাজ্যেই ধূমধাম করে পালন করা গণেশ চতুর্থী। আগামী ৩১ অগাস্ট বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বেঙ্গালুরুর পুরসভা এলাকায় মাংস কাটা এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে পুরসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। এক দিনের জন্য ওই পুরসভা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। গণেশ চতুর্থীর বড় পুজোকে সামনে রেখে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে একটি সার্কুলার জারি করেছে নাগরিক সংস্থা ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে (BBMP)। স্থানীয় ভাষায় লেখা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘৩১ অগস্ট বুধবার গণেশ চতুর্থীর দিন ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে-র অধীন সমস্ত দোকানে পশু নিধন এবং মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। এই নির্দেশ সকলকে মানতে হবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামাতের অনুমতি পেলেই গণেশ পুজো! নির্দেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, উৎসবের দিনে মাংস বিক্রি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। কারণ চলতি মাসের শুরুতে, নাগরিক সংস্থা শ্রী কৃষ্ণ জন্মদিন অর্থাৎ জন্মাষ্টমীতে মাংস বিক্রি এবং পশু হত্যা নিষিদ্ধ করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। বাসভ জয়ন্তী, মহা শিবরাত্রি, গান্ধী জয়ন্তী, সর্বোদয় দিবস এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মতো বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই ধরনের আদেশ জারি করা হয়েছে।
এদিনের বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে কর্নাটক সরকারকে এক হাত নিয়েছেন বিরোধিরা। জেডিএস (জনতা দল সেক্যুলার) নেতা তনভির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর ৮৫ শতাংশ মানুষ মাংস খান। সরকার তা নিষিদ্ধ করতে চাইলে আমরা বিরোধিতা করব। রাজ্যে বেকারত্ব, হিংসার মতো সমস্যাগুলির সমাধান না করে সরকার এই ধরনের বিষয়ে মনোনিবেশ করছে।’’