নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা...
জলের জন্য হাহাকার বেঙ্গালুরুতে। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত বিদায় নিয়ে বসন্ত এসেছে। ইতি মধ্যেই জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। যার জেরে জলের অপচয় রুখতে কোমর কষে নেমে পড়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) প্রশাসন। গাড়ি ধোয়ার কাজে জল ব্যবহার করা যাবে না বলে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নির্মাণ কাজ, বিনোদন সংক্রান্ত কোনও কাজেও জল ব্যবহার করা যাবে না। বাগান পরিচর্যা, সিনেমা হলের কাজেও ব্যবহার করা যাবে না জল।
কর্নাটকে জলসঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সব চেয়ে শোচনীয় অবস্থা বেঙ্গালুরুর। পানীয় জল তো বটেই, নিত্য ব্যবহারযোগ্য জলের সঙ্কটেও জেরবার বেঙ্গালুরুবাসী। এক বালতি জল কিনতে খসাতে হচ্ছে হাজার থেকে দু’ হাজার টাকা পর্যন্ত। সঙ্কটের মোকাবিলায় জলের অপচয় রোখায় জোর দিয়েছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা না মেনে জলের অপচয় করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছে কর্নাটক ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ড। একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে গুণাগার দিতে হবে বাড়তি ৫০০ করে টাকা।
বেঙ্গালুরু শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ৩০ লক্ষ। সেখানে দৈনিক জলের চাহিদা ২৬০ কোটি থেকে ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমানে শহরে অন্তত ১৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে উত্তর কন্নড়, তুমাকুরু জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও। রাজ্যের ২৩৬টি তালুকে খরা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের তরফে জল রিসাইকেল ও পরিশোধন করে পুনর্ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। ট্যাঙ্কারে করে যে জল সরবরাহ করা হচ্ছে, সেখানেও জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় হেল্পলাইন ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুুন: রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনীত সুধা মূর্তি, নারী দিবসে খুশির খবর দিলেন মোদি
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষ ট্যাঙ্কের জলের ওপর নির্ভর করেন। তাঁদের অভিযোগ, জলের আকালের সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। চড়া দরে বিক্রি করছেন জল। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, শহরের বেশিরভাগ এলাকায় নলকূপ শুকিয়ে কাঠ। অন্তত তিন হাজার জলের ট্যাঙ্কার শুকিয়ে গিয়েছে। বেসরকারি ট্যাঙ্কারের মালিকদের জলের দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। শহরবাসীর দাবি, গত তিন মাস ধরে চলছে জলসঙ্কট। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দিন কয়েক আগে থেকে (Bengaluru)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।