Love Jihad: বেঙ্গালুরুতে লাভ জিহাদের শিকার হিন্দু মহিলা, সন্তানকেও অর্থের জন্য ধর্মান্তকরণের হুমকি…
বেঙ্গালুরুতে লাভ জিহাদ। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের লক্ষ্য হল, মুসলিম পুরুষরা নিজের আসল পরিচয় আত্মগোপন করে হিন্দু সেজে প্রথমে মন্দিরে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে। কিছু দিন পরে মুসলমান পরিচয় দিয়ে বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মুম্বই, কর্নাটকে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। হিন্দু মহিলাদের হিন্দু নাম-পরিবর্তন ও ধর্ম-পরিবর্তন করে শরিয়া মতে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। আর না করতে চাইলে চলে অকথ্য অত্যাচার, এমনকী খুনও করা হয়! এই ভাবেই হিন্দু মহিলাদের টার্গেট করে চলে লাভ জিহাদের ষড়যন্ত্র। সম্প্রতি, এমনই একটি লাভ জিহাদের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।
খবরে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একজন হিন্দু মহিলা নিজের এবং তাঁর ছেলের সুরক্ষা চেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি। ওই হিন্দু মহিলা বলেন, “আমার স্বামী সাদ্দাম আমার ৩ বছরের সন্তানকে কালা জাদুর জন্য খুন করতে চেয়েছিলেন। আমি, ২৭ সেপ্টেম্বর আরকে পুরম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, ২৮ অক্টোবর পুলিশের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিলাম। ওই সময় আমাকে এবং ছেলেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য ব্যাপক ভাবে মারধর করা হয় এবং খুনের চেষ্টা পর্যন্ত করা হয়। এমনকী আমার মাকেও টার্গেট করা হয়। আমি, পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় ছিল না। তবে আমার কোনও ক্ষতি হলে সাদ্দামকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করব।”
মহিলার দাবি, ওই হিন্দু মহিলার সঙ্গে ২০২০ সালে সাদ্দামের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় সাদ্দাম নিজের পরিচয় আধি ঈশ্বর নামের একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিলেন। যেহেতু সাদ্দাম তাঁকে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন, তাই ২০২০ সালের নভেম্বরেই হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। এই সময়ে সাদ্দাম একজন হিন্দু বলেই জানতেন মহিলা। মহিলা তাঁর অভিযোগে জানান, ২০২১ সালে তাঁদের ছেলের জন্ম হয়। তাঁদের ছেলের জন্মের পর সদ্দাম বারবার বলত ছেলেকে একটি অনুষ্ঠানের জন্য জবাই দিতে চান এবং এতে অনেক অর্থ আসবে। কিন্তু অত্যচার আরও বেশি বেশি হওয়ায় জীবনের ভয়ে ছেলেকে নিয়ে তুমাকুরুতে (Bengaluru) চলে যান ওই হিন্দু মহিলা। মহিলার দাবি, সাদ্দাম এবং সঙ্গী ল্যাংদা নায়াজ খোঁজ করে ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ নন হিন্দু মহিলা এবং তাঁর পুত্র।
হিন্দু মহিলা আরও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে প্রবঞ্চনা হয়েছে। পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করানো হয়েছে। বিবাহের পর আমার ধর্ম এবং নাম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি পুলিশকে সাদ্দাম ও নিয়াজের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। প্রতিসময় আমকে ওরা নজরে রাখতে চায়। হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য সব সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার ছেলে এবং মায়ের জন্য উদ্বিগ্ন। আমি জরুরি ভিত্ততে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তু পুলিশ সক্রিয়তা দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা করেনি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গেও দেখা করেছি। লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। সাদ্দামের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চাই।’’
আরও পড়ুন: ‘‘সীমান্তের এক ইঞ্চি জায়গা নিয়েও আপস করবে না ভারত’’, গুজরাতের কচ্ছে বললেন মোদি
কেআর পুরমের (Bengaluru) এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই হিন্দু মহিলা ২০২১ সালে আরকে পুরমে তাঁর বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তুমাকুরুতে থাকতেন এবং বর্তমানে নেলামঙ্গলার কাছে বসবাস করছেন। সেপ্টেম্বরে তাঁর অভিযোগটি একটি পিটিশন হিসাবে নিয়েছিলাম এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলাম। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্বামীর ফোন নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে নম্বর দিয়েছেন তা সংযোগ করা যাচ্ছে না। আমরা এটাও জানতে পারি যে তিনি পুলিশ কমিশনারের অফিসেও গিয়েছিলেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশের ভিত্তিতে আমরা আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।