রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চাকরি বিক্রি করেছেন লালু ও তাঁর পরিবার?
তেজস্বী যাদব (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে চাকরি কেলেঙ্কারিতে ইডির কাচের তলায় লালুপুত্র (Tejashwi Yadav)। ‘জমির বদলে চাকরি’ মামলায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে ফের তলব কেন্দ্রীয় সংস্থার। জানা গিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পৌঁছেছে তেজস্বী যাদবের কাছে। ওই দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। একইসঙ্গে, এই মামলায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর লালুপ্রসাদকেও ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ পিতা-পুত্রকে তলব ইডির। প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশু-খাদ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় লালু প্রসাদ যাদবের। সেই মামলায় দীর্ঘদিন জেলও খেটেছেন তিনি। এবার ফের দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে তলব করল ইডি। বিহারে নীতীশ কুমারের দল ও লালু যাদবের জোট সরকার চলছে বর্তমানে।
তবে এই প্রথম নয়। চাকরি কেলেঙ্কারির মামলায় এ বছরের এপ্রিলে তেজস্বীকে (Tejashwi Yadav) তলব করে ইডি। তখন প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই প্রথম লালুপ্রসাদকে এই মামলার তদন্তে ডেকে পাঠাল ইডি। গত নভেম্বরেই এই মামলায় লালুর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যালকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে জেরা করার পরই নাকি লালুকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
প্রসঙ্গত, প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেসময় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও। এখন দেখার তদন্তে কী উঠে আসে। বছরের শুরুতেই অবশ্য একই মামলায় আরজেডি প্রধান লালু, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় লালু, রাবড়ি-সহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। পরে চার্জশিটে তেজস্বীর (Tejashwi Yadav) নামও জোড়ে সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।