Delhi: কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা পাকিস্তান, আজ থেকে বিমসটেকের বৈঠক শুরু নয়া দিল্লিতে
বিমসটেকের সদস্য দেশগুলি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিমসটেক’ (BIMSTEC) বা বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত। আজ ১১ জুলাই বিমসটেকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক নয়াদিল্লিতে (Delhi) অনুষ্ঠিত হবে। ‘বিমসটেক’ এর সদস্য দেশগুলি হল- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এই আঞ্চলিক জোট মূলত বঙ্গোপসাগরের সীমান্তবর্তী দেশগুলিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য কাজ করে। বিমসটেকের (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলন চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। গত বছরের জুলাইতে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে প্রথম বিমসটেক বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তা আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে নয়া দিল্লিতে (Delhi)।
১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করা এই জোটে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড সদস্য ছিল। ২০০৪ সালে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৭। বিমসটেকের সদর দফতর খোলা হয় ঢাকাতে ২০১৪ সালে। বিমসটেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে সহযোগিতা চলে সেগুলি হল ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, পরিবহন, শক্তি, পর্যটন, প্রযুক্তি, মৎস্য, কৃষি, জনস্বাস্থ্য, দারিদ্র-দূরীকরণ, পরিবেশ, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান তথা জলবায়ু। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিমসটেকের প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন শ্রীলঙ্কার সুমিত নাকানদালা। ২০২৩ সাল থেকে বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল রয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিক ইন্দ্রমণি পান্ডে।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিমসটেকের (BIMSTEC) বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা এই বৈঠক দুদিন ধরে চলবে নয়া দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আলাদা আলাদা দেশের সঙ্গে সহযোগিতা, বাণিজ্য, যোগাযোগ- এ সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা চলবে। বিমসটেকের বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যে দিল্লিতে হাজির হয়েছেন মায়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউ থান। প্রসঙ্গত, ভারত সার্ক গোষ্ঠীর থেকেও বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে কোনও রকমের ব্যবস্থা তো নেয় নি, উপরন্তু সন্ত্রাসকে মদত দেওয়ার অনেক রকমেরই কাজ করেছে। সে দিক থেকে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে বিমসটেকের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলিকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলা ভারতের অনেক বড় কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।