S Eswara Reddy: অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিলেন সিবিআই অফিসাররা
অভিযুক্ত ড্রাগ কন্ট্রোলার এস ইশ্বর রেড্ডি ( ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে ইঞ্জেকশনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মকুব করার গুরুতর অভিযোগে যুগ্ম ড্রাগ কন্ট্রোলার (Joint Drugs Controller) এস ইশ্বর রেড্ডিকে (S Eswara Reddy) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। দিল্লির (Delhi) এক বেসরকারি সংস্থাকে বেআইনিভাবে ইনসুলিন ইঞ্জেকশনের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বায়োকন বায়োলজিকস (Biocon Biologics) নামে একটি সংস্থার থেকে এই কাজের জন্যে চার লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সংস্থার অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট এল প্রবীণ কুমার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যদিও সেই ওষুধ কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে।
আরও পড়ুন: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?
দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলারের হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত ছিলেন রেড্ডি। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট ড্রাগ ইন্সপেক্টর অনিমেশ কুমারকে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে দীনেশ দুয়া এবং গুলজিৎ চৌধুরীকে। অভিযোগ, ওষুধের অনুমোদন দেওয়ার জন্য একাধিক সংস্থার থেকে মোট ৯ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন রেড্ডি।
আরও পড়ুন: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা
বহুদিন ধরেই রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তক্কে-তক্কে ছিল সিবিআই। অভিযুক্তকে হাতে নাতে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছিলেন সিবিআই অফিসাররা। অবশেষে এই ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাথে ধরা পড়েন তিনি। দিল্লির ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সিবিআই আধিকারিকরা জানান, বায়োকন (Biocon) বায়োলজিকসের তিনটি ফাইল রেড্ডির টেবিলে বহুদিন ধরে আটকে পড়েছিল। ঘুষের টাকা পাওয়ার পরেই ফাইলগুলিকে ছাড়পত্র দেন রেড্ডি। শিল্পপতি কিরণ মজুমদার শ (Kiran Mazumdar Shaw)-এর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বায়োকন বায়োলজিকস। এই সংস্থার ওষুধকেই তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (Clinical trial) ছাড়াই বেআইনিভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন রেড্ডি।