সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
ইডির দফতরে রাহুল গান্ধী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় সোমবার আবারও ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিন সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছন রাহুল।
গত সপ্তাহে টানা তিনদিন ৩০ ঘণ্টা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। গত শুক্রবারই চতুর্থবার জেরার জন্য কংগ্রেস সাংসদকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখার করার জন্য তা পিছনোর আর্জি জানিয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছিলেন রাহুল। তা মেনে নিয়ে ২০ জুন হাজিরার নির্দেশ দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইমতোই এদিন ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। চলে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
এদিকে, রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে কংগ্রেস। দিল্লির যন্তর মন্তরে সত্যাগ্রহ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, সলমন খুরশিদ, ভি নারায়ণ স্বামীরা। কংগ্রেসের বিক্ষোভ আটকাতে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইডি দফতরের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে ইডির (Enforcement Directorate) জেরা নিয়ে কড়া ভাষায় কংগ্রেসের সমালোচনা করে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, "এ দেশে না কেউ রানি ভিক্টোরিয়া (Queen Victoria ), না কেউ যুবরাজ চার্লস (Prince Charles)। যে তাঁকে জেরা করা যাবে না। এদেশে আইনের চোখে সবাই সমান। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বা উঠলে তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে।" তাঁর দাবি, জনগণ জানে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধী পরিবার এবং রাহুল গান্ধীর ভূমিকার কথা। সুতরাং,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মনে করলে গান্ধী পরিবারের যে কোনও সদস্যকে ডেকে জেরা করতেই পারে। এই জেরার অধিকার তাদের রয়েছে। সম্বিত আরও বলেন, "ইডি কথার অর্থ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, এন্টাইটেলমেন্ট ডিরেক্টরেট নয়। এটা যেন কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধী ভুলে না যান।"
আরও পড়ুন: কেন রাহুল গান্ধীকে জেরা, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী?
এর আগে রাহুলকে তলব নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন বলেন, "আমার জানা নেই যে কংগ্রেসকে (Congress) যেভাবে দিনের পর দিন হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবে অন্য কোনও দলকে হেনস্থা করা হয়েছে কি না। আর এই হেনস্থার একমাত্র উদ্দেশ্য হল রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখ বন্ধ করা। এভাবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ বন্ধ করা যায় না।"
প্রসঙ্গত, এই মামলায় শুধু রাহুল নয় সনিয়া গান্ধীকেও ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি৷ কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেস সভানেত্রী৷ এই মুহূর্তে তিনি ভর্তি গঙ্গারাম হাসপাতালে৷ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে ইডি দফতরে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেস৷