কী বলছেন পসমন্দা মুসলিম সমাজের বিশেষজ্ঞ
প্রধানমন্ত্রী মোদি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিপোর্ট বলছে ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পসমন্দা মুসলিম (Pasmanda Muslims) সমাজের ৮ শতাংশ ভোট বিজেপি (BJP) পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিজীর 'সবকা সবকা বিকাশ' এই স্লোগানেই বাজিমাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতের দখল বর্তমানে বিজেপির হাতেই রয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে এখানে বিজেপি (BJP)। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ খ্রিস্টান তাঁদেরও আস্থা মোদি সরকার অর্জন করতে পেরেছেন বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। প্রসঙ্গত আজকেই কেরলের কংগ্রেসের নেতা এ.কে. অ্যান্টনির ছেলে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন। তিনিও একজন খ্রিশ্চান ধর্মাবলম্বী মানুষ। কেরলের খ্রিস্টানদের সমর্থন বিজেপির পক্ষেই আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মিটিং হয়েছে ভ্যাটিকানের পোপের সঙ্গেও। এতে ভারতের খ্রীশ্চানরা খুশি বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।
পসমন্দা সম্প্রদায়ের বিশেষজ্ঞ ফায়াজ আহমেদ ফইজি বলছেন, ‘উত্তর প্রদেশে আশরফ মুসলিম সমাজের সংখ্যা ১০ শতাংশ, আর পসমন্দা মুসলিমরা ৯০ শতাংশ।’ এই অঙ্কের নিরিখে বিজেপির (BJP) লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ যখন বড় ফ্যাক্টর তখন, পসমন্দা ভোটব্যাঙ্ক নিঃসন্দেহে বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মোরাদাবাদ, আলিগড়, মেরঠ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় ক্ষেত্র বারাণসীতেও এই মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই।
উল্লেখ্য, সদ্য উত্তরপ্রদেশে রামপুর ও আজমগড়ে লোকসভা ভোটের উপনির্বাচনে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে বিজেপি জিতলেও বিশাল সংখ্যক মুসলিম ভোট আসেনি। তবে বিরোধী সমাজবাদী পার্টিও সেই মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি। সেই জায়গা থেকে বিজেপির সম্ভাবনা রয়েছে, সমাজবাদী পার্টির মুসলিম ভোটব্যঙ্কে থাবা বসানো, বলছেন বহু বিশেষজ্ঞ।
জানা গেছে, যাঁরা অতীতে হিন্দু ছিলেন আর পরবর্তীকালে মুসলিম হয়েছেন তাঁরাই পসমন্দা মুসলিম। ফায়াজ আহমেদ ফৈজি বলছেন, অশরফ মুসলিমরা উচ্চ বর্গীয় বলে বিবেচিত হন, সেখানে পসমন্দারা সেই স্থান পাননা। আর এই জায়গা থেকে বিজেপি জনভিত্তি বাড়িয়ে নিতে এই পসমন্দা মুসলিমদেরই পাখির চোখ করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: