দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ফের অশান্ত মণিপুর
মণিপুরে আক্রান্ত বিজেপি অফিস (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে আক্রান্ত বিজেপির অফিস। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় অশান্তির আগুনে ফের জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। বুধবার সন্ধ্যায় সেই আঁচ পরল থৌবলের বিজেপি দফতরে। অভিযোগ বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা। জেলা বিজেপি দফতরে রাখা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ।
মণিপুরে (Manipur) যেন হিংসা থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সেখানে আফস্পার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। তারপরেও ভাঙচুর, লুট, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, অপহরণের মতো ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। মঙ্গলবার দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বেধেছে। এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে মণিপুরে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা। দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় তদন্তভার সামলাচ্ছে সিবিআই। বুধবারই সিবিআই-এর ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর ইম্ফলে পৌঁছেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৬ জুলাই দুই জন পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে কুকি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে একজন হলেন ফিজাম হেমজিদ তাঁর বয়স ২০ এবং অপরজন হিজাম লিনথোইগাম্ভি এই নাবালিকার বয়স ১৭। সোশ্যাল মিডিয়াতে হঠাৎ করে ভাইরাল হয় এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি যা নিয়ে ফের জ্বলে ওঠে মণিপুর। মনিপুরের তুই পড়ুয়াকে অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, অমিত শাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, যারা এই অপহরণ এবং হত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও হিংসা বন্ধের কোনও লক্ষণ সেখানে দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে সরকারি হিসেবে প্রায় ২০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিংসার ঘটনায় ঘর ছাড়া হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।