গুজরাট থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন জেপি নাড্ডা...
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ফের রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট রয়েছে রাজ্যসভায়। এর আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যসভায় প্রার্থী তালিকা সামনে এলেও গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের প্রার্থা তালিকা বুধবারই ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ। তাঁকেও রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে অশোক চহ্বাণ বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য তার নমিনেশন পত্র জমা দেওয়ার জন্য মাত্র দু'দিন সময় হাতে ছিল। তাই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আসেন। সেখানে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এবং রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
বর্তমানে হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য রয়েছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। এবার গুজরাট থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল দল। বুধবার বিজেপির প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মহারাষ্ট্র থেকে অশোক চহ্বাণ ছাড়া রয়েছেন মেধা কুলকার্নি এবং ডাঃ অজিত গোপছাদে। এবং গুজরাটের তিনজন প্রার্থী হলেন গোবিন্দভাই ধোলাকিয়া, মায়াঙ্কভাই নায়ক এবং ডাঃ যশবন্তসিংহ পারমার। বর্তমানে রেলমন্ত্রী থাকা অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ফের ওড়িশা থেকেই রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে দল রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে শমীক ভট্টাচার্যকে।
বর্তমান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিমাচল প্রদেশ থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। হিমাচল প্রদেশের সরকারে ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী (JP Nadda)। ২০১৪ সালে, তিনি প্রথমবারের মতো রাজ্যসভার সাংসদ হন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নাড্ডা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।