Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি সাংসদ সম্বিতের, কী বললেন তিনি?
রাহুল গান্ধীকে তুলোধনা করলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী।” বৃহস্পতিবার ঠিক এই ভাষাতেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র তথা লোকসভার সদস্য সম্বিত পাত্র। তাঁর অভিযোগ, রাহুলের সঙ্গে এমন কিছু ব্যক্তির যোগাযোগ রয়েছে, যাঁরা ভারত-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য পরিচিত।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে সম্বিত একটি ত্রিভুজের উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, এই ত্রিভুজই ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “এই ত্রিভুজের একদিকে আছেন জর্জ সরোস, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে রয়েছেন এবং তাঁর ফাউন্ডেশন আমেরিকার কিছু স্বার্থান্বেষী সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ত্রিভুজের আর এক দিকে রয়েছে একটি বড় নিউজ পোর্টাল যার নাম 'অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট' (ওসিসিআরপি) এবং ত্রিভুজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শেষ দিকটি হল রাহুল গান্ধী, সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী।” পদ্ম-পার্টির এই সাংসদ বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকে দেশদ্রোহী বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।”
আরও পড়ুন: পুতিনের মুখে মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র বন্দনা, কী বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট?
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘মিডিয়াপার্ট’-এর একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জর্জ সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের টাকায় চলা ওসিসিআরপি, একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা, তাদের অর্থদাতাদের স্বার্থে কাজ করে।” তিনি এমন কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন, যেখানে রাহুল ওসিসিআরপির রিপোর্ট ব্যবহার করেছেন। সম্বিতের দাবি, এ সবই করা হয়েছিল ভারতের মানহানি করার (Rahul Gandhi) উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই মাসে যখন বিশ্ব কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিল করোনা অতিমারি, তখন ওসিসিআরপি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ব্রাজিল ভারতের কোভ্যাক্সিন কোভিড-১৯ টিকার জন্য ৩২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুক্তি থেকে সরে এসেছে। সম্বিতের মতে, একটি একটি দেশের চিত্র কলঙ্কিত করার চেষ্টা। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে (BJP) কংগ্রেস। সেই বৈঠকে ভারত সরকার ও ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়। গেরুয়া সাংসদের দাবি, ওসিসিআরপি নির্দেশ দিয়েছিল আর রাহুল গান্ধী সেই নির্দেশ অনুসরণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাম-সীতার বিবাহ জয়ন্তী, গুজরাট থেকে জনকপুর গেল ১০৮ মিটারের ওড়না
তিনি বলেন, “এভাবেই রাহুল পেগাসাস ইস্যুতে সরকারকে টার্গেট করেছিলেন। এটিও একটি ওসিসিআরপি রিপোর্টের পরে ঘটেছিল। একইভাবে, ভারতের শেয়ার বাজারকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভারতীয় শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে ‘হিট জবস’ আক্রমণ সংগঠিত হয়েছিল এই ওসিসিআরপি।” গেরুয়া শিবিরের এই সৈনিক বলেন, “ওসিসিআরপি রাহুল ও তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আইনি প্রক্রিয়াগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করেছে। ওই মামলায় দুই কংগ্রেস নেতাকে একশো কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরেই সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করা কিছু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
মিডিয়াপার্টের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলিয়নিয়ার এবং দাতব্যকর্মী জর্জ সরোস ড্রু সুলিভান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ওসিসিআরপিকে অর্থ জুগিয়েছেন। ২০২৩ সালে ওসিসিআরপির সাংবাদিকদের পাঠানো একটি ইমেলে সুলিভান স্বীকার করেছিলেন যে এটি সত্য যে তাঁর এনজিও প্রথম দিকের বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে কোনও প্রতিবেদন করত না। কারণ এর পুরো বাজেটই ওয়াশিংটন এবং ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (এরই প্রতিষ্ঠাতা বিলিয়নিয়ার এবং দাতব্যকর্মী জর্জ সরোস) টাকায় ছিল।
আরও পড়ুন: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?
সুলিভান লিখেছেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বা সরোসের অর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে কোনও প্রতিবেদনের জন্য ব্যবহার করতে পারতাম না।” প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, এরপর থেকে, ওসিসিআরপি আরও বিস্তৃত উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে, এবং সুলিভান এবং বোর্ড এই তদন্তে জানিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়গুলো তদন্তের জন্য মার্কিন তহবিল ব্যবহার না করার সীমাবদ্ধতা এখন আর সমস্যা নয়, কারণ (Rahul Gandhi) এনজিওটি অন্য অ-মার্কিন তহবিল ব্যবহার করতে পারে, যেগুলো তারা পেয়েই থাকে (BJP)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।