নাগরিকত্ব প্রদানের উদ্দেশে রাজস্থানে চলছে ক্যাম্প...
‘সীমাজন কল্যাণ সমিতি’র ক্যাম্প চলছে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মার্চ মাসেই লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (২০১৯)। এই আইনের বলে, পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় ভাবে (CAA) অত্যাচারিত হয়ে আসা ৬ সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজস্থানে ক্যাম্প বসাতে শুরু করে 'সীমাজন কল্যাণ সমিতি'। নাগরিকত্বের আবেদন করতে উদ্বাস্তুদের সাহায্য করছে সঙ্ঘের ভাবধারাবাহী এই সংগঠন। বর্তমানে এই সমিতি মরুরাজ্যে পাকিস্তান সীমান্তে ৩০০-র থেকে বেশি ক্যাম্প (CAA) চালাচ্ছে।
যে ক্যাম্পগুলি তৈরি করা হয়েছে যোধপুর, জয়সলমীর প্রভৃতি জায়গায়। প্রত্যেক ব্যক্তিকে নাগরিক আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন রকমের তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে নাগরিকত্ব পোর্টালে (CAA) নথি আপলোড করার কাজে। যা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চালু করেছে। বিক্রম সিং রাজ পুরোহিত একজন আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখা করেছেন, উদ্বাস্তুদের স্বার্থে কীভাবে দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে এই সমিতি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান থেকে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত হয়ে আসা শরণার্থীরা রাজস্থানে ৪০০-রও বেশি বিভিন্ন স্থানে এসে বসতি স্থাপন করে। মনে করা হচ্ছে, দু'লাখেরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু, বিভিন্ন সময়ে এসেছেন মরু রাজ্যে উদ্বাস্তু হয়ে। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রত্যেক উদ্বাস্তু (CAA) ভারতে আইনি ভাবেই প্রবেশ করেছেন। হয় তাঁরা পর্যটক ভিসার মাধ্যমে এসেছেন অথবা তীর্থযাত্রী হয়ে। এঁরা প্রত্যেকেই ভারতের নাগরিক হওয়ার যোগ্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয় সংসদে। তারপর থেকে করোনা মহামারী চলতে থাকায় লাগু করা যায়নি আইন। অবশেষে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে (CAA) তা লাগু করা হয়। এই আইন অনুযায়ী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসিক এবং খ্রিস্টান এই ছয় সম্প্রদায়ের অত্যাচারিত মানুষদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে এসেছেন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।