তথ্য প্রমাণ লোপাট নিয়ে চিন্তা আদালতের
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মরশুমে ফের চাপ বাড়ল শাসকদলের উপর। মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় এবার তদন্ত করবে এনআইএ। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের মন্তব্য, “যত সময় গড়াবে ততই তথ্য প্রমাণ বিকৃতি করার সম্ভাবনা বাড়বে। পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী বোমা ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে।”
প্রসঙ্গত গত বছরের মত এবছরও রামনবমীর দিন রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে কোথাও বাড়ি ছাদ থেকে আবার কোথাও মসজিদ থেকে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে আহত হন বহু রাম ভক্ত। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এনআইএকে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt) । শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় শুক্রবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। এর পরই আদালত জানায় মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলে বোমাবাজি ও হামলার ঘটনায় তদন্ত করবে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চলতি বছর রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের রেজিনগর বিধানসভা এলাকার শক্তিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমে একদল দুষ্কৃতী রামনবমীর মিছিলের উপর একতরফা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল আশপাশের বাড়ি থেকে মুখ ঢেকে বোমা ও পাথর ছুঁড়ছে একদল দুষ্কৃতি। শক্তিপুরের পাশাপাশি মানিক্যহার এলাকাতেও মিছিলের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। বাড়ির ছাদ থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে সেখানেও হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের তদন্তের দাবি জানিয়ে Calcutta Highcourt) দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়।
প্রসঙ্গত এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিংসার ঘটনার তদন্ত করছিল সিআইডি। তবে এনআইয়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার। এখন সেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়ী তদন্তভার পেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট Calcutta Highcourt) রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। যত দিন যাবে ততদিন মামলার তথ্য প্রমাণ লোপাট করার বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করে আদালত। এমনকি বহরমপুরে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্যে, “যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারে না, সেখানে ভোটের কোন প্রয়োজন নেই।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, “ওই জেলায় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোন মন্তব্য বা প্রচার করতে পারবেন না রাজনীতিকরা। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নজরদারি রাখতে হবে তাঁকে। এ নিয়ে প্রচার করার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।” মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিন প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে এনআইএ-কে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।