DY Chandrachud: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না, এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী’’
প্রধান বিচারপতি বুধবার বলেন, হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে (প্রতীকী ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলে উল্লেখ করতে পারবেন না, সাফ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। বুধবারই একটি মামলার শুনানিতে বুধবার এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের কোনও অংশকে, কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না। এমন মন্তব্য দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। আদালতে যা কিছু ঘটে, তা কিছুই গোপন রাখা উচিত নয়।’’
বিতর্ক শুরু কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বেগব্যাসাচর শ্রীষনন্দার একটি মন্তব্য ঘিরে। পরে সেই বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এনিয়েই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল এদিন সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের একটি মামলা ছিল বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটের বিবাদ সংক্রান্ত। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি শ্রীষনন্দা বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাকে পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা আইনজীবীকে নিশানা করে তিনি নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। এর পরে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়ে নেন ওই বিচারপতি। কিন্তু পরবর্তীকালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়।
এদিনই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কর্নাটক হাইকোর্টের ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি (DY Chandrachud) জানিয়েছেন, বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে ও মর্যাদার প্রশ্নেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্নাটকের ওই মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এস খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি এইচ রায়কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হয়। এদিন আদালতে বিচারপতিরা কী ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির কথাও বলে শীর্ষ আদালত।
আজ বুধবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) আরও বলেন, ‘‘হালকা চালে কোনও মন্তব্য করা হলেও, তা কোনও বিশেষ সম্প্রদায় বা লিঙ্গের মানুষের প্রতি ব্যক্তিগত পক্ষপাত ইঙ্গিত করে। এই ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিশেষ সম্প্রদায় বা বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি এমন মন্তব্যে আমরা উদ্বিগ্ন, বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।