হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষের ঘটনা এই প্রথম নয়। ক্যানাবিস হচ্ছে ঐ অঞ্চলের প্রাচীনতম ফসলের একটি।
গাঁজা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) কুল্লুতে দু সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা একটি অভিযানে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স (CBN) এর আধিকারিকরা ১,০৩২ হেক্টর (১২,৯০০ বিঘা) গাঁজার (Cannabis) ক্ষেত ধ্বংস করেছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পর, সিবিএন-এর আধিকারিকদের দল গঠন করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়। ওই আধিকারিকরা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করেন এবং অবৈধ চাষাবাদ হচ্ছে যে এলাকায় সেই এলাকাকে সনাক্ত করেন। পরবর্তীকালে, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ নারকোটিক্স- এর কমিশনার রাজেশ এফ ধবরে।
আরও পড়ুন: ঔপনিবেশক অতীত ঝেড়ে ফেলার পথে ভারতীয় সেনা?
সিবিএন অফিসাররা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে একটি দ্বিমুখী পন্থা গ্রহণ করেছে। শরীর ও মনে মাদকের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে কমিউনিটি মোবিলাইজেশন পন্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এনডিপিএস আইন এবং এর শাস্তিমূলক বিধানগুলির বিষয়েও গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে। গ্রামবাসীরা অবৈধ চাষাবাদ ধ্বংস করতে সিবিএন আধিকারিকদের সহায়তা করেন বলেও জানিয়েছেন কমিশনার ধবরে।
তিনি আরও জানান, সংবেদনশীল স্থানগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য জিপিএস কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করা হয়েছিল এবং অবৈধ গাঁজা চাষের এলাকা সনাক্তকরণ এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এতেই এসেছে এত বড় সাফল্য। তিনি আরও বলেন, "মিশন ক্র্যাকডাউন এভাবেই দেশের অন্যান্য অংশে জোরালোভাবে চলতে থাকবে এবং সিবিএন মাদকের বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?
হিমাচল প্রদেশে গাঁজা চাষের ঘটনা এই প্রথম নয়। ক্যানাবিস হচ্ছে ঐ অঞ্চলের প্রাচীনতম ফসলের একটি। এ থেকেই গাঁজা তৈরী হয়। এর আগেও এই এলাকায় গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই বন্ধ্যা মাটিতে অন্য কোনও চাষ হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এই অবৈধ কাজে নামতে হয় তাদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: