কী বললেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশি-বিদেশি লগ্নি টানতে এবার ২৯টি কয়লা খনিকে (Coal Mines) নিলাম করল কেন্দ্র। জানা গেছে, এখন থেকে যে কোনও সংস্থাই কয়লা খননের কাজ চালাতে পারবে। খুব শীঘ্রই কয়লা ক্ষেত্রের এই সংস্কারের জন্য আইন সংশোধন করতে অধ্যাদেশ জারি করতে চলেছে মোদি সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর বসিয়েছে। মোদি সরকার আশা করছে, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার ফলে গ্লেনকোর, অ্যাংলো আমেরিকান, বিএইচপি গ্রুপ, রিও টিন্টো, পিবডি এনার্জি গ্রুপ এ দেশে কয়লা খনির নিলামে অংশ নেবে।
কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এবিষয়ে বলেন, ‘‘কোল ইন্ডিয়াকে আরও মজবুত করা হবে। আজকের সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে দেশে ১০০০ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে। ওই বছর দেশে কয়লার চাহিদা ১৪০০ মিলিয়ন টনে দাঁড়াবে। এত দিন কোল ইন্ডিয়ার উপরেই ১০০০ মিলিয়ন টন উৎপাদনের দায় ছিল। এ বার বেসরকারি ক্ষেত্র, বিদেশি লগ্নি সেই অভাব পূরণ করবে। তবে কোল ইন্ডিয়ার কাছে যথেষ্ট খনি (Coal Mines) রয়েছে। কোল ইন্ডিয়া এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’’
কয়লা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, কয়লার ভাণ্ডারের নিরিখে ভারত গোটা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তা সত্ত্বেও গত বছর বিদেশ থেকে ২৩৫ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করতে হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৫ মিলিয়ন টনের প্রয়োজন এ দেশের খনি থেকেই মেটানো যেত। তা হলে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হত। কয়লা ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য এই অধ্যাদেশে ১৯৫৭ সালের খনি-খনিজ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ আইন ও ২০১৫-এর কয়লা খনি বিশেষ ব্যবস্থা আইনে সংশোধন আসতে চলেছে।
আজকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প মহল। শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালের মতে, ‘‘এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে। যার জন্য বছরে ১৫০০ কোটি ডলার খরচ হয়। আজকের দিনে যখন তেলের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্ত জ্বালানি ক্ষেত্রে দেশকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: