গত তিন বছরের মধ্যে যেসব রাজ্য কোনও একটি বছরে সব চেয়ে কম...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিকাজে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে রাসায়নিক সার (Chemical Fertilizer)। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতির পাশাপাশি জীবকুলও। এমতাবস্থায় প্রয়োজন রাসায়নিক সারের যথেচ্ছ ব্যবহার কমানো। সেই কারণে এবার কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt) সূচনা করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী প্রমোশান অফ অল্টারনেটিভ নিউট্রিয়াস অ্যান্ড এগ্রিকালচার ম্যানেজমেন্ট, সংক্ষেপে 'প্রণাম প্রকল্প' (PM PRANAM Scheme)। জানা গিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে যেসব রাজ্য কোনও একটি বছরে সব চেয়ে কম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছে, তাদের উৎসাহিত করতেই এই প্রকল্প।
কম সময়ে বেশি ফসল ফলাতে গিয়ে কৃষিক্ষেত্রে যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন কৃষকরা। তার জেরে ক্ষতি হচ্ছে একাধিক দিক থেকে। খাদ্যের সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢুকছে রাসায়নিকের বিষ। আবার রাসায়নিক মেশানো খেতের জল খেয়ে মারা যাচ্ছে ছোট ছোট পোকামাকড়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রও। তাই রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো জরুরি। সেই কারণে বিভিন্ন রাজ্যকে উৎসাহিত করতে চালু হচ্ছে 'প্রধানমন্ত্রী প্রণাম প্রকল্প'। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের খবর, যে সব রাজ্য গত তিন বছর ধরে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপির মতো রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করছে, তাদের ৫০ শতাংশ হারে ইনসেনটিভ গ্র্যান্ট দেওয়া হবে। ওই সূত্রেরই খবর, রাজ্যগুলি এই ইনসেনটিভ গ্র্যান্টের ৮০ শতাংশ খরচ করতে পারবে কৃষকদের কল্যাণে। বায়ো কিংবা অর্গানিক সারের প্ল্যান্ট বসিয়ে সাহায্য করতে পারবে কৃষকদের। গ্র্যান্টের বাকি টাকায় বজায় রাখা যাবে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা। যার মাধ্যমে কৃষকরা বিকল্প সারের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল...’
রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আজ স্বনির্ভর হওয়ার আরও একটি পথ হল প্রাকৃতিক চাষ। এই প্রাকৃতিক চাষ, রাসায়নিক মুক্ত কৃষি আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে শক্তি জোগাবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিকল্প দিশা’র স্বপ্ন পূরণ করতেই চালু হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী প্রণাম কর্মসূচি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।