রাজ্যপালের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকেও...
অমিত শাহ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে (Manipur) শান্তি ফেরাতে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি (Peace Committee) গঠন করল কেন্দ্র। রাজ্যপালের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকেও। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন রাজ্যের সব সাংসদ এবং বিধায়করা। রাখা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরও।
কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রফাসূত্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে এই কমিটি। মণিপুরে হিংসার তদন্তে এর আগে ডিআইজি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে সিট গঠন করেছিল সিবিআই। সিটের সদস্য সংখ্যা ১০। এই সিটই রিপোর্ট দেবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিল কেন্দ্র। এবার গঠন করা হল শান্তিরক্ষক কমিটি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই (Manipur) জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনী। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাসাধিককাল কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।
আরও পড়ুুন: ফের জ্বলতে পারে অশান্তির আগুন, মণিপুরে সশস্ত্র বাহিনী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ঘটনার সূত্রপাত মণিপুর (Manipur) হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়ায়। এরই বিরোধিতায় নামে রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। সূত্রের খবর, রাজ্যে এ পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১০০ জন। গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫০০ জনেরও বেশি। হিংসার জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।
প্রসঙ্গত, হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১ জুন মণিপুরে (Manipur) গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তি কমিটি গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই সফরের পরপরই তোড়জোড় শুরু হয় কমিটি গঠনের। শেষমেশ গঠিত হল কমিটি। বিবদমান জনগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করাই মূল কাজ হবে ওই কমিটির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।