সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে, ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে সরকারের সামনে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল।
এস জয়শঙ্কর
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, মঙ্গলবার, হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।
অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের স্বার্থে শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে তামিলনাড়ুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে (DMK) এবং এআইএডিএমকে (AIADMK)।
আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?
সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে, ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে সরকারের সামনে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল। সেখানে বসবাসকারী তামিল জনজাতির পরিস্থিতির উন্নতিতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ডিএমকে নেতা টিআর বালু এবং এআইএডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই তাঁদের দাবি সংবাদমাধ্যমকেও জানান।
এর আগেই দ্বীপ রাষ্ট্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার পড়ন্ত অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই সে দেশকে ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে মোদি সরকার। এছাড়াও জ্বালানি, খাবার, জামাকাপড়ের মতো ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ বিষয়ে বলেন, "কোনও দেশের উন্নতি, শান্তি বজায় রাখতে, সবার আগে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। আমরা শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র বজায় রাখার লড়াইয়ে তাদের পাশে আছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে খুব সুক্ষ্মতার সঙ্গে নজর রাখছি। আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুসম্পর্ক ইতিহাস প্রাচীন। আমরা তা বজায় রাখব। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা এখন সেটাই দেখছি।"
শ্রীলঙ্কার আন্দোলন রবিবার শততম দিন পার করেছে। কিন্তু অবস্থার কোনও রকম উন্নতি হয়নি। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দখল নেয়। তারপরেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি সামলাতে কার্যকরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। এই আর্থিক সংকটের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। আর্থিক মন্দার কারণে গত বছর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।