কেন্দ্রের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সংক্ষেপে CERT-In ঠিক কী কাজ করে?
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনের (২০০৫) আওতায় পড়বে না কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা CERT-In.। এটি হল একটি জাতীয় নোডাল এজেন্সি। এই এজেন্সি কম্পিউটারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে এবং সাইবার অ্যাটাক থেকে রক্ষা করে।
তথ্য জানার অধিকার আইনে (২০০৫) কোন কোন ক্ষেত্র পড়ে না
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে পাশ হওয়া আরটিআই অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে পাবলিক অথরিটি তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে। ৮ নম্বর ধারাতে উল্লেখ রয়েছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলির, যেগুলি তথ্য দেওয়ার অধিকার আইনের আওতায় পড়বে না। এগুলি হল, সাধারণভাবে যে কোনও ব্যক্তিগত তথ্য (যদি তা দেশের বা সমাজের নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ না হয়), দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন তথ্য, মন্ত্রিসভার বৈঠকের গোপন নথি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ক্রিয়াকলাপ ইত্যাদি।
এবার এই তালিকায় জুড়ল কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা CERT-In.। কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা CERT-In ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ছাড়াও আরও ২৬টি গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত। যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি), রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র), ডাইরেক্টরেট অফ এনফোর্সমেন্ট (ইডি), ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এই সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে না।
আরও পড়ুুন: "ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে" বিস্ফোরক দিলীপ
২০০৫ সালে তথ্য জানার অধিকার আইন পাশ হওয়ার পর শেষবারের মতো সংশোধন করা হয়েছিল ২০১৬ সালে। সেখানে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড সংস্থাগুলিকে তথ্য জানার অধিকার আইনের তালিকায় রাখা হয়নি। প্রসঙ্গত, CERT-In দেশের মধ্যে ঘটা গুরুত্বপূর্ণ সাইবার অ্যাটাকগুলির বিরদ্ধে তদন্ত করে। গত ২০২২ সালে ২৩ নভেম্বর র্যানসামওয়্যার অ্যাটাকের সময়ও এই সংস্থা তদন্ত শুরু করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।