মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য (Chandigarh University MMS Row)। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় উত্তপ্ত পাঞ্জাব (Punjab) সহ গোটা দেশ। ফলে ক্যাম্পাসে অশান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত ক্লাস ও পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ও ভিডিও-কাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মেয়েদের হস্টেলের ওয়ার্ডেন রাজবিন্দর কৌরকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
স্নানের সময় তোলা ছাত্রীদের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে দাবি করে শনিবার মধ্যরাত থেকেই বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। আর এরই মধ্যে এই ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে সিমলা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও একজন ৩১ বছর বয়সি যুবককে পুলিশ আটক করেছে। ফলে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ছাত্রী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের দৃশ্য ভাইরাল, মধ্যরাতে উত্তাল চণ্ডীগড়
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম সানি মেহেতা। সে সিমলার রহুর মহকুমার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি এই ঘটনায় রঙ্কজ বর্মা নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি ভিডিওই পাওয়া গিয়েছে ও ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োটি অভিযুক্ত ছাত্রীর, যার বিরুদ্ধে বাকি পড়ুয়াদের স্নানের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। অন্য কোনও ভিডিও এখনও মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের।
চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ (Chandigarh University Protest) অব্যাহত থাকায়, রবিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) জিএস ভূল্লার। তিনি বলেন, "আইনি প্রক্রিয়ার উপর ভরসা রাখা একান্ত প্রয়োজন। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তদন্ত চলছে।“ রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলতে থাকে, ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের শান্ত করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরে পুলিশের উপস্থিতিতে "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" (We Want Justice) স্লোগান দেয়। এসময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেয়। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নয়, পুলিশের উপরও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে পড়ুয়ারা।
অন্যদিকে দাবি করা হয় যে, পড়ুয়াদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে ছাত্রীরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশ এই অভিযোগ কে মেনে নেয়নি। পাশপাশি পুলিশের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও, পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অন্তত ৮ জন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। একজন মারা গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি ৭ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Chandigarh University) প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া বলেন, ''৬০ জন ছাত্রীর এমএমএস বানানোর বিষয়টি ভিত্তিহীন। এমনকী আট জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে এই ব্যাপারটিও গুজব।''
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours