চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টকে এবার থেকে আন্তর্জাতিকভাবে শিবশক্তি পয়েন্ট নামে গণ্য করা হবে...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বড় সাফল্য আসে গত অগাস্টে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। আর চাঁদে যে পয়েন্টে গিয়ে ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ড করেছিল, সেই জায়গার নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া সেই নাম ‘শিবশক্তি’কে অনুমোদন দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। ২০২৩ সালের ২৮ অগাস্ট ইসরোর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই ঘোষণা করেন। শিবশক্তি নামকরণের কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, শিব শব্দের অর্থ মানব সভ্যতার কল্যাণ। শক্তি শব্দ মানব কল্যাণকে টেনে নিয়ে যায়।
চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডিং পয়েন্টকে এবার থেকে আন্তর্জাতিকভাবে শিবশক্তি পয়েন্ট হিসাবে গণ্য করা হবে। শিবশক্তি নামটিতে সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন। জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ এই অনুমোদন মিলেছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে এই অনুমোদন যে কোনও দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করা হয় (Chandrayaan 3)। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের তরফে যে সমস্ত মহাজাগতিক বিষয়গুলির নামকরণ করা হয়, সেই ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’-এ শিবশক্তি নামকরণকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে ওই জায়গাতেই প্রথম নামে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।
২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, চাঁদের মাটিতে প্রথম নামে বিক্রম ল্যান্ডার। গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল। শুরু হয় উৎসব। সফল হয় ইসরোর পরিশ্রম। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রওনা হয় চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) । ১ মাস ৯ দিনের মাথায় দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ বিক্রম। ভারতই হয় প্রথম দেশ যা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। চন্দ্রপৃষ্ঠে ১০ দিনের অন্বেষণ চালায় রোভার। তার ক্যামেরায় তোলে ল্যান্ডার বিক্রমের ছবিও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।