Maoists: শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী, জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাওবাদীরা, পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী
ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে ফের সাফল্য এল (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী দমন অভিযানে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার সকালেই বস্তারের অবুঝমাড় জঙ্গলে জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ মাওবাদীর। নিহত মাওবাদীদের (Maoists) কাছ থেকে ৫টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে গুলির লড়াইয়ের জখম হয়েছেন দুই জওয়ানও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে রায়পুরে। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখে বস্তারের জঙ্গলেই বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩১ মাওবাদী। গত ১ বছরে এই জঙ্গলে ১৯৭ জন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোপন সূত্র মারফত, ওই জঙ্গলে (Chhattisgarh) মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জানা যায়, এই সময়ই (সকাল ৮টা নাগাদ) গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে আরম্ভ করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলির লড়াইয়েই ৫ মাওবাদী খতম হয়। অন্যদিকে, মাওবাদীদের (Maoists) ছোড়া গুলিতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) দুই জওয়ান জখম হন। তাঁদের কপ্টারে করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সিঁদুর সরিয়ে মহিলাদের কপালে ক্রস, বিহারে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ মিশনারি
বস্তার রেঞ্জের (Chhattisgarh) আইজিপি পি সুন্দররাজ এনিয়ে বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। মাঝে মাঝে জঙ্গলের ভিতর থেকে মাওবাদীরা গুলি চালাচ্ছে।’’ (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কাঙ্কের ও অবুঝমাড়ের উত্তরে জঙ্গলে মাওবাদীদের (Chhattisgarh) উপস্থিতি নিয়ে তাঁরা গোপন সূত্রে তথ্য পান। তারপরই অপারেশনে নামে ডিআরজি, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং বিএসএফ।
জানা গিয়েছে, টানা চার ঘণ্টা গুলির লড়াই চলার পরই মাওবাদীরা পিছু হঠতে থাকে। তারপরেই সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচজন মাওবাদীর দেহ। প্রসঙ্গত, অবুঝমাড়ের ওই জঙ্গলের আয়তন গোয়ার থেকেও বড়। একসময় এই ঘন জঙ্গল এলাকা মাওবাদীদের দুর্গ ছিল। এর অনেকটা অংশ বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া এবং কাঙ্কের ও মহারাষ্ট্রর মধ্যে পড়ে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।