সেনা মোতায়েন করার কথা ভেবেই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং...
প্রকাশ্যে চিনা আগ্রাসনের এই সেই ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকসাই চিনে (Aksai Chin) সক্রিয়তা চিনা সেনার। সম্প্রতি চিনা মানচিত্রের যে সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনকে সে দেশের বলে দাবি করেছে বেজিং। এবার জানা গেল কেবল দাবিই নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার নির্মাণ করছে চিন। বাঙ্কারের পাশাপাশি এই এলাকায় সুড়ঙ্গও তৈরি করছে চিনা ফৌজ। ভবিষ্যতে যুদ্ধের পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
২০২৩ সালের ১৮ অগাস্ট উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে এই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গের কথা জানতে পেরেছে নয়াদিল্লি। মাস কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় জুড়ে সেতু নির্মাণ করছিল চিনা ফৌজ। উপগ্রহ মারফত সে খবরও পেয়েছিল (Aksai Chin) ভারত। তারই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগে সীমান্তে ফের তৎপরতা চিনা সেনার। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এলাকায় স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েন করার কথা ভেবেই বাঙ্কার ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং।
উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ ডেমিয়েন সাইমন বলেন, “আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভারতীয় সেনাকে প্রতিহত করতে চাইছে চিন। আকসাই চিনে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস থাকায় এ দেশের সেনাবাহিনী যে সুবিধাগুলি পায়, তা রুখতেই চিনের এই পদক্ষেপ।” উত্তর লাদাখের দেপসাং উপত্যকা থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার পূর্বে আকসাই চিনে নদীর পাড় বরাবর সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে লাল ফৌজ। ম্যাক্সার স্যাটেলাইট চিত্রেও ধরা পড়েছে চিনের এই খননকাজ। উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, নদীর দুই পাড়েই পাথর কেটে চিন (Aksai Chin) অন্তত ১১টি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে। এই সুড়ঙ্গ ও বাঙ্কারেই যুদ্ধাস্ত্র মজুত করার পরিকল্পনা করেছেন চিনা সমর কর্তারা।
আরও পড়ুুন: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?
বছর তিনেক আগেও ডেমচক, ডেপসাং, গালওয়ান, গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের পাশাপাশি ফিঙ্গার এরিয়া ৮ এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিল লাল ফৌজ। জুন মাসে গাওয়াল উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর নতুন করে শুরু হয় দ্বিপাক্ষিক শান্তি আলোচনা। এহেন আবহে হ্রদের দক্ষিণে হেলমেট টপ থেকে রেচিন লা বেশ কিছু উঁচু এলাকায় দখল নেয় ভারতীয় সেনার মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।