লজ্জা-শরমের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে ডিএমকে, কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?...
ডিএমকের সমালোচনায় মুখর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর নয়া রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শাসক দল ডিএমকের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সংবাদপত্রে। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছবির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে চিনের পতাকা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি রকেটের ওপর চাপানো হয়েছে চিনের জাতীয় পতাকার ছবি। পোস্টারের এই ছবি নিয়ে ডিএমকের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, “সকলে জানেন, ডিএমকে আমাদের সকল প্রকল্প নিজেদের প্রকল্প বলে চালায়। এবার তারা লজ্জা-শরমের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ুতে ইসরোর লঞ্চপ্যাডের কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য তারা লাগিয়ে দিয়েছে চিনের পতাকা। ডিএমকের নেতারা অন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি তারা দেখতে পাচ্ছে না। ভারতের মহাকাশ গবেষণার সাফল্য বিশ্বকে দেখাতে চায় না তারা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই পোস্টার ছেপে ডিএমকে সরকার বিজ্ঞানীদের অপমান করেছে। ইসরোর অপমান করেছে, মহাকাশ কেন্দ্রের অপমান করেছে।”
তামিলনাড়ুর বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই বলেন (PM Modi), “এই বিজ্ঞাপন ডিএমকের চিনের প্রতি আনুগত্য ও ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ।” তিনি বলেন, “ষাট বছর আগে ইসরো তাদের প্রথম লঞ্চপ্যাডটি করতে চেয়েছিল তামিলনাড়ুতেই। কিন্তু ইসরোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএমকে মন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তাই লঞ্চপ্যাডটি তৈরি হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে।” তিনি বলেন, “অতীতের সেই ভুল ঢাকতেই যেনতেন প্রকারে ইসরোর নয়া লঞ্চপ্যাড তৈরির কৃতিত্ব নিতে চাইছে ডিএমকে সরকার।”
আরও পড়ুুন: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি
প্রসঙ্গত, গত অগাস্টেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য কুলশেখরপট্টিনমে ইসরোকে এই নয়া মহাকাশ বন্দর স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই নয়া মহাকাশ বন্দর থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছোট ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ছোট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে খরচ বেশি হয় (PM Modi)।
বেকায়দায় পড়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে ডিএমকে। ডিএমকের তরফে সাংসদ কে কানিমোঝি বলেন, “আমি জানি না কে এই ছবির ডিজাইন করেছে। আমি মনে করি না যে ভারত চিনকে শত্রু দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং চিনের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁরা মহাবলীপুরমে গিয়েছেন। সত্যটা গ্রহণ করতে আপনারা জানেন না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।