এই রেললাইন নির্মাণের আগে লাদাখ সীমান্তে সেনা টহলদারিও বাড়িয়েছে চিনারা।
ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অঞ্চলে রেললাইন বানাচ্ছে চিন (India-China)। সূত্রের খবর,প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ দিয়ে আকসাই চিন (Aksai Chin) এলাকায় ওই রেললাইনটি তৈরি করতে চলেছে চিন সরকার। যা আগামীদিনে চিনের বৃহত্তর যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (TAR) সরকারের জারি করা একটি নতুন রেলওয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন করে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার লাইন তৈরি করতে চাইছে তিব্বত প্রশাসন। এর একটা বড় অংশ আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাবে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, নয়া লাইন ভারত ও নেপাল থেকে চিনের (India-China) সীমান্তে নতুন রুট কভার করবে। এই নতুন রেললাইনটি তিব্বতের শিগাৎসে থেকে শুরু হয়ে উত্তর-পশ্চিমে নেপাল সীমান্তের কাছে যাবে। এর পরে, এটি আকসাই চিনের উত্তর হয়ে জিনজিয়াংয়ের হোতানে শেষ হবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই প্রস্তাবিত রেললাইনটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের দখলকৃত রুটোগ এবং প্যাংগং লেকের মধ্য দিয়েও যাবে। শিগাতসে থেকে পাখুকতসো পর্যন্ত প্রথম বিভাগটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, বাকিটি হোতান পর্যন্ত শেষ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক উদ্দেশে ২৯টি কয়লা খনির নিলাম করছে কেন্দ্র, খুশি শিল্পমহল
এই রেললাইন নির্মাণের আগে লাদাখ সীমান্তে সেনা টহলদারিও বাড়িয়েছে চিনারা। কিছুদিন আগেই ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সেকথা স্বীকার করেছেন। এই নতুন রেল লাইন তৈরি হলে খুব সহজেই ভারতের সীমান্তের কাছে চলে আসতে পারবে চিন সেনা। প্রসঙ্গত, আকসাই চিন (Aksai Chin) ইস্যুতে শুরু থেকেই ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। ওই ভূখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। সেই আকসাই চিনের উপর দিয়েই রেললাইন বানাচ্ছে চিন সরকার। স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। যদিও প্রকাশ্যে এই ইস্যুতে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।