ওই বিস্ফোরণের আগে মুবিনরা কোয়েম্বাতুরের ছয়টি মন্দির ঘুরে দেখেছিল। কখন কোন মন্দিরে ভক্ত সমাগম বেশি হয় তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছিল
চলছে তল্লাশি অভিযান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোয়েম্বাতুরে (Coimbatore) মন্দিরের সামনে একটি গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। ওই ঘটনায় হাত থাকতে পারে আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গিদের। ওই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কার ইস্টার হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এই বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন। সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণের আগে মুবিনরা কোয়েম্বাতুরের ছয়টি মন্দির ঘুরে দেখেছিল। কখন কোন মন্দিরে ভক্ত সমাগম বেশি হয় তা-ও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে মন্দিরে বিস্ফোরণ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের, ধারণা তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার ইউএপিএ ধারায় মামলা পুলিশের
গত ২৩ অক্টোবর, রবিবার ভোরে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের কোট্টাই ঈশ্বরান মন্দিরের কাছে একটি গাড়িতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা যুবক জামেজা মুবিনের (Jameza Mubin)। সেই গাড়িতে পেরেক, সিলিন্ডার ও অন্যান্য বিস্ফোরক থাকায় পুলিশের অনুমান, বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টায় ছিলেন মুবিন। এর পরেই এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচ জনকে চিহ্নিত করা হয়। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি এই তদন্ত এনআইএ-র হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে। এনআইএ তদন্ত শুরু করার পরে পটাসিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, সালফার এবং কাঠকয়লা-সহ ১০৯ রকমের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় মুবিন ও বাকি অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে।
আরও পড়ুন: কোয়েম্বাতুর গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে কেরল লিংক?
বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিনকে ২০১৯ সালে একবার জেরা করেছিল এনআইএ (NIA)। তবে, সেই সময় তার থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। রবিবার বিস্ফোরণের পর ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক যুবকের বাড়িতে তল্লশি চালিয়ে প্রায় ৭৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তামিলনাড়ু পুলিশ। UAPA ধারায় মামলা করে শুরু হয় তদন্ত। বিস্ফোরণের তদন্ত ভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিস্ফোরণে নিহত জামেজা মুবিন কেন ৭৫ কেজি বিস্ফোরক জমা করেছিল তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাদের আরও বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা নেতা এই হামলার লক্ষ্য ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।