বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা পরাস্ত হয়েছেন মিজোরামে...
ভোট গণনার ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে (Mizoram) চলছে ভোট গণনা। বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, 'জোরাম পিপলস মুভমেন্ট' বা জেডপিএম এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে ২৭ আসনে। অন্যদিকে 'মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট' বা এমএনএফ এগিয়ে রয়েছে ১০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৩ আসনে, অন্যদিকে কংগ্রেস মাত্র ১ টি আসন পেয়েছে। 'জোরাম পিপলস মুভমেন্ট' বা জেডপিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার লালডুহোমার নেবেন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ। সেখানকার সংবাদ মাধ্যম বলছে যে ইতিমধ্যে তিনি সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছেন। ৭৪ বছর বয়সী লালডুহোমার ছিলেন দুঁদে আইপিএস। ইন্দিরা গান্ধীর নিরাপত্তা বিষয়টিও তিনি দেখভাল করেন। ১৯৮৪ সালেই তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
ভরাডুবি কংগ্রেসের
২০১৮ সালে সেখানে কংগ্রেস জোটের ভরাডুবি হয়। এরপর কংগ্রেস ২০১৮ সালের ফলাফলও চলতি বিধানসভা নির্বাচনে ধরে রাখতে পারল না। ২০১৮ সালেও কংগ্রেস পেয়েছিল ৪টি আসন। এবার তারা খুইয়েছে ৩টি আসন। দেশের হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে গতকাল যে ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে কংগ্রেস, সেই একই চিত্র বজায় থাকল উত্তর-পূর্ব ভারতেও। মিজোরাম (Mizoram) বিধানসভায় মোট আসন রয়েছে ৪০টি। ম্যাজিক সংখ্যা হল ২১। সেটা অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে 'জোরাম পিপলস মুভমেন্ট' বা জেডপিএম।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতোই সেখানে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা (Mizoram) পরাস্ত হয়েছেন। এমএনএফ পার্টির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আইজল পূর্ব-১ কেন্দ্রে এদিন জেডপিএম প্রার্থীর পরাস্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমএনএফ-কে হারিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে 'জোরাম পিপলস মুভমেন্ট' বা জেডপিএম। অনেকটাই পিছনে পিছিয়ে রয়েছে (Mizoram) 'মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট'। এদিন সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই জোর টক্কর চলছিল জেডপিএম এবং এমএনএফ-এর মধ্যে। ভোট গণনা শুরু হতেই উভয় দল ছটি করে আসনে এগিয়ে যায়। এরপর থেকেই গতি বাড়তে থাকে জেডপিএম-এর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।