পশ্চিমবঙ্গ সহ ১০ রাজ্যে নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ...
ফের মিলল করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমল করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে ১৩ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬ জন। সোমবার সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার ১৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদিকে, ভারতে ফের করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইজরায়েলি গবেষকদের।
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা বিধি জারি করেছিল কয়েকটি রাজ্য। মহারাষ্ট্র, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ছিল উর্ধ্বমুখী। তবে গত কয়েক দিনে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৫১৫ জন। দিন কয়েক আগে পর্যন্তও সংখ্যাটি ছিল তিন হাজারের ঘরে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩২২জন। সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছিল চার হাজারের ঘরে। সংক্রমণ কমেছে তামিলনাড়ুতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬৫৪ জন। ওই সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিত হয়েছেন ১১৩২ জন। যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন : সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!
এদিকে, সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে একদল ইজরায়েলি গবেষক। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। ভারতের ১০টা রাজ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ওই গবেষকদের দাবি, ২ জুলাই পর্যন্ত ভারতের যে রাজ্যগুলিতে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে, সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা।
আরও পড়ুন : ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
তবে কেবল ভারত নয়, বিশ্বের আরও সাতটি দেশেও করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে আইসিএমআরের গবেষকদের দাবি, করোনার নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই এত উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ যে ভ্যারিয়েন্টের কথা ইজরায়েলি গবেষকরা জানাচ্ছেন, সেই ভ্যারিয়েন্টের তেমন তেজ নেই। সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে সামান্য উপসর্গই দেখা গিয়েছে। ওই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। তাই এখনই দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই দাবি আইসিএমআরের গবেষকদের।