ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল মিগজাউম, ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব কোথায়?
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এবং মছলিপত্তনমের মাঝে বাপাটলা উপকূলে দুপুরে স্থলভাগে প্রবেশ করে মিগজাউম। অন্ধ্রের নেল্লোর এবং মছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড়টি। এই আবহে অন্ধ্র উপকূলে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১১০ কিমিতে পৌঁছে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ অন্ধ্রের জন্য লাল সতর্কবার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
The scs “michaung” over south coastal AP moved northwards during past 06 hours. The latest observation indicates that the lanfall process is completed. It lay centered at 1530 hours ist of today over south coastal AP, about 20 km WSW Of bapatla and 45 km NNE of Ongole. pic.twitter.com/xQFOg4wAMh
— India Meteorological Department (@Indiametdept) December 5, 2023
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডব চলল অন্ধ্র উপকূলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করে নেল্লোর এবং মছিলিপত্তনমের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি, নেল্লোর, প্রকাশম, বাপতালা, কৃষ্ণ, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসীমা ও কাকিনাড়া জেলায়। তেলঙ্গানার বহু জায়গাতেও আজ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশে উপকূলে। জারি হয়েছে সতর্ককা। মঙ্গলবার উপকূলবর্তী সব এলাকাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে। দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। অন্যদিকে একাধিক বিমান বাতিল করেছে উড়ান সংস্থাগুলি। গতকাল চেন্নাইয়ে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল।
#TamilNadu received isolated Heavy to Very Heavy rainfall till 0830 Hrs today pic.twitter.com/KatjCHMarD
— India Meteorological Department (@Indiametdept) December 5, 2023
মিগজাউম আছড়ে পড়ার আগেই টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির বিস্তীর্ণ এলাকা। তেলঙ্গানা ও ওড়িশাকেও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতরের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আগেভাগেই আটটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরি, কোনসিমা এবং কাকিনাদায় সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরতেই বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় শুরু বৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে
মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা বঙ্গে। বুধবার ও বৃহস্পতিবারে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। হলুদ সতর্কবার্তা জারি রয়েছে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।